PM Narendra Modi US Visit: আমেরিকা সফরের দ্বিতীয় দিনে ওয়াশিংটন মাতে 'নমো'-জ্বরে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পৌঁছন ওয়াশিংটন ডিসিতে। সেখানে তাঁকে 'গার্ড অফ অনার' দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। বিমানবন্দরে তাঁকে দেওয়া হয় অভ্যর্থনা। ঠাঁসা কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি ছিলেন উইলার্ড ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এদিন, হোয়াইট হাউসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন তাঁকে স্বাগত জানান। একান্ত নৈশভোজের আয়োজন হয় হোয়াইট হাউসে।
মোদীর আমেরিকা সফর প্রসঙ্গে ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন
আমেরিকায় মোদীকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী তথা ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন বলেছেন, "আপনার সফর বিশ্বের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশগুলিকে একত্রিত করেছে। উভয় দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের তরুণদের চাকরি দিতে হবে, যারা আমাদের ভবিষ্যৎ। তারা যাতে পর্যাপ্ত সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।"
প্রধানমন্ত্রীর জন্য নিরামিষভোজের আয়োজন
প্রধানমন্ত্রী নিরামিষভোজী হওয়ায় তাঁর জন্য ছিল এলাহী আয়োজন। হোয়াইট হাউসে আজ রাতে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। স্টেট ডিনারের অতিথি শেফ নিনা কার্টিস বিশেষভাবে তৈরি করেন সেই মেনু। যার ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল। এই নৈশভোজের পর অ্যাকাপেলা গ্রুপের পেইন মাসালা এবং গ্র্যামি পুরস্কার বিজেতা জোশুয়া বেল সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন।
নৈশভোজের মেন কোর্সে রয়েছে ম্যারিনেটেড মিলেট, গ্রিলড কর্ন কার্নেল স্যালাড, কমপ্রেসড তরমুজ এবং ট্যাঙ্গি অ্যাভোকাডো সস। স্টাফড পোর্টোবেলো মাশরুম, ক্রিমি জাফরান ইনফিউজড রিসোটো। এছাড়াও রয়েছে সুম্যাক রোস্টেড সি-বাস, লেমন ইয়োগার্ট সস, ক্রিসপড মিলেট কেক এবং সামার স্কোয়াশ।
'মোদী-বাইডেন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে ১০-১৫ বছরের পার্টনারশিপ'
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি বলেছেন, "আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দুই নেতাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এই বৈঠকটি আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য দুই দেশের মধ্যে পার্টনারশিপ স্থির করা হবে।"
এদিন, জিল বাইডেনের সঙ্গে ভার্জিনিয়ার ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেন তিনি। সেখানে আমেরিকা ও ভারতের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন। পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। বলেন, "আমি খুব খুশি যে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছি। এমন সৃজনশীল তরুণদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি।" তিনি আরও জানান, "ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের সঙ্গে একসঙ্গে অনেক প্রকল্পে কাজ করবে।এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা।"
ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন-এ মোদীর বার্তা
এদিন তাঁর বার্তায় ওঠে নয়া শিক্ষানীতি প্রসঙ্গও। বলেন, "উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা ভারতে নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।" তিনি জানান, স্টার্টআপ ইন্ডিয়া মিশনের মাধ্যমে এই দশককে প্রযুক্তিগত দশকে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তা নিয়ে ভারত ও আমেরিকা একসঙ্গে কাজ করছে। ভারতে সর্বাধিক সংখ্যক যুবক-যুবতী রয়েছেন আর আমেরিকায় বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উভয় দেশ যৌথভাবে ভারত-মার্কিন শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি শুরু করার কথা ভাবতে পারে। এতে উভয় দেশেরই লাভ হবে। AI-তে দক্ষ ৫ কোটি মানুষকে অনুশীলন দেওয়া হয়েছে।