যুদ্ধ পরিস্থিতি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পাশাপাশি আগামী বছর অর্থাত্ ২০২৫ সালের QUAD সম্মেলন ভারতে হবে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে বৈঠকও করেন মোদী। তাত্পর্যপূর্ণ হল, চলতি বছরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জো বাইডেন এবার আর প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নন। সে ক্ষেত্রে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন হবে, তা দেখার বিষয়।
ভারতীয় সময়ে যখন গভীর রাত, তখন আমেকায় ওয়েলিংটনে QUAD সম্মেলনে ভারত ফের শান্তি স্থাপনের বার্তা দিল। মোদী বললেন, 'আমি আমার তৃতীয় কার্যকালে QUAD সামিটে অংশ নিয়ে যাররনাই খুশি। আপনার (আমেরিকা) নেতৃত্বে ২০২১ সালে QUAD সামিট হয়েছিল।'
মোদীর ভাষণে আলোচনায় সমাধান
এরপরেই বিশ্বের নানা অংশে যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বললেন, 'আমাদের বৈঠক এমন একটি সময় হচ্ছে, যখন বিশ্বজুড়ে সংঘর্ষ চলছে। এহেন সময়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে QUAD সদস্যদের একসঙ্গে কাজ করা মানবতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কারও বিরুদ্ধে নই। আমরা সব সমস্যারই শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। মুক্ত, খোলামেলা আলোচনায় সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। ২০২৫ সালের QUAD ভারতে আয়োজন করতে পারা আমাদের সৌভাগ্য।'
কী বললেন জো বাইডেন?
জো বাইডেনের কথায়, 'আমার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শুরুর দিনগুলিতে, আমি আপনাদের সকল সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছি যাতে আমরা কোয়াডকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করতে পারি। ৪ বছর পর, আজ আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি কৌশলগতভাবে ঐক্যবদ্ধ। আজ আমরা ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য কিছু নতুন উদ্যোগ ঘোষণা করছি, যার মধ্যে রয়েছে আমাদের আঞ্চলিক অংশীদারদের কাছে নতুন মেরিটাইম প্রযুক্তি উপলব্ধ করা, যাতে তারা বুঝতে পারে তাদের সমুদ্র এলাকায় কী ঘটছে। কোস্টগার্ড সহযোগিতা প্রথমবারের মতো শুরু করা হচ্ছে এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কোয়াড ফেলোশিপও প্রসারিত করা হচ্ছে। আবারও আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই যে আপনি এখানে আছেন।'
QUAD সম্মেলন কী?
কোয়াড হল চারটি দেশের একটি গ্রুপ, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, আমেরিকা এবং জাপান রয়েছে। কোয়াড হল চারটি দেশের একটি অনানুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে কৌশলগত নিরাপত্তা সংলাপ একসাথে হয়। কোয়াড গ্রুপের উদ্দেশ্য সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা। এটি ২০০৭ সালে শুরু হয়েছিল, কিন্তু 2008 সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যাহারের পর বন্ধ হয়ে যায়। এটি ২০১৭ সালে পুনরায় চালু করা হয়েছিল।