পিএনবি দুর্নীতি (PNB Scam)-তে অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সি গত কয়েকদিন ধরে খবরে রয়েছেন। অ্যান্টিগুয়া থেকে সে পালিয়ে পৌঁছেছিল ডমিনিকায়। তারপর পুলিশ সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
দাবি করা হচ্ছে, সেখানে তার বান্ধবীর সঙ্গে গিয়েছিল মেহুল চোক্সি। যে পরে ধরা পড়ে যায়। সে অ্যান্টিগুয়া থেকে কী করে এত সহজে ডমিনিকা পৌঁছে গেল, সে ব্যাপারে বেশ আকর্ষণীয় তথ্য উঠে এসেছে।
ইন্ডিয়া টুডে-র কাছে ভ্রমণ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। যা গুরুজিৎ ভন্ডাল গুরমিত সিংয়ের নামের রয়েছে। এই দু'জন ব্যক্তি গত ৪৫ দিনে দু'বার ডমিনিকা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ডমিনিকা যাওয়ার আগে এপ্রিল মাসে তারা সেন্ট লুসিয়া গিয়েছিল। সেখানে তারা ইংল্যান্ডের নাগরিক বলে পরিচয় দেওয়া রয়েছে। কাগজপত্র তো তাই বলছে। তখন তারা হেকসা বোট চার্টস লিমিটেডের সাহায্য নিয়েছিল।
একমাস পরে তারা ডমিনিকা পৌঁছে যান। তবে তখন নিজেদের পরিচয় ভারতীয় নাগরিক হিসাবে দেন। কাগজে-কলমে মেহুল চোক্সি ডমিনিকা গিয়েছে, এমন কোনও নথি নেই। তবে অভিযোগ করা হচ্ছে, যে নামের কথা বলা হয়েছে, সেখানে ভারতীয় নাগরিকত্বের কথা কেন বলা হল?
এখন এই দুই নাম নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কারণ কুবরা ট্যুর নাম মেহুল চোক্সিকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে নিয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ডমিনিকা সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মেহুল চোক্সি অন্যায় উপায় সে দেশে গিয়েছে। আর অন্যদিকে, তার আইনজীবী দাবি করেছেন, তাকে সেখান থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।
কোবরা ট্যুরস সার্ভিসের অ্যান্ড্রু কোবরা ওব্রায়েন ইন্ডিয়া টুডে-কে জানিয়েছেন, ২৫ মে কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডেকেছিলেন। আর দুই ব্য়ক্তিকে পরিষেবা দেওয়ার কথা জানান। তাঁর দাবি, তিনি প্রশাসনের কসঙ্গে কাজ করেছেন এবং ওই দু'জনকে দ্বীপে নিয়ে যান।
তিনি দাবি করেছেন, অন্যায় উপায়ে ঢোকার বিষয়টি ঠিক নয়। এ ব্য়াপারে সব কাজের নথিপত্র রয়েছে। এর মধ্য়ে অন্যায় কিছু নেই। তাঁর আরও দাবি, মহুলি চোক্সি নিয়ে যে রিপোর্ট হয়েছে, তা ঠিক নয়। তিনি কখনও মেহুল চোকসির সঙ্গে দেখা করেননি।
হেকসা বোট চার্টস জানাচ্ছে, যখন দু'জন ডমিনিকা থেকে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র আনে, তখন তাদের জলযানে অপেক্ষা করতে হয়। এরপর তারা সেন্ট লুসিয়া ফিরে যায়। সেখান থেকে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে। আর তারপর বিমান ধরে চলে যায়।