Advertisement

Russia-Ukraine: ইউক্রেনের চার এলাকা রাশিয়ার অংশ করে নিলেন পুতিন

ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানে শীর্ষ রুশ আধিকারিকদের উদ্দেশে পুতিন জানান, ডনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজিয়া ও খেরসনের বাসিন্দারা এখন থেকে রাশিয়ার নাগরিক। তাঁদের ওপর হামলা হলে তা রাশিয়ার ওপর হামলা হিসেবে গণ্য হবে। রাশিয়া নিজের নাগরিক এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বস্ব শক্তি প্রয়োগ করবে। 

ভ্লাদিমির পুতিন। ভ্লাদিমির পুতিন।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 30 Sep 2022,
  • अपडेटेड 8:51 PM IST
  • ডনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজিয়া ও খেরসনের বাসিন্দারা এখন থেকে রাশিয়ার নাগরিক।
  • ঘোষণা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের।

ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাশিয়ায় সংযুক্ত করার নথিতে সই করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানে শীর্ষ রুশ আধিকারিকদের উদ্দেশে পুতিন জানান, ডনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজিয়া ও খেরসনের বাসিন্দারা এখন থেকে রাশিয়ার নাগরিক। তাঁদের ওপর হামলা হলে তা রাশিয়ার ওপর হামলা হিসেবে গণ্য হবে। রাশিয়া নিজের নাগরিক এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বস্ব শক্তি প্রয়োগ করবে। 

বলি রাখি, ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাশিয়ার ডনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজিয়া ও খেরসনের গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বেশির ভাগ মানুষ রাশিয়ার সঙ্গে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন। রাশিয়া ঘোষণা করেছে, গণভোটে তাদের জয় হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ পশ্চিমের দেশগুলি এই ভোটকে ভুয়ো বললেও তাতে কর্ণপাত করছে না পুতিন সরকার। মস্কোর রেড স্কোয়ারে বিশালাকার ভিডিয়ো স্ক্রিনে লেখা হয়েছিল, 'ডনেৎস্ক, লুহানস্ক, জ়াপোরিজিয়া, খেরসন— রাশিয়া।' 

রুশ সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ডনেৎস্কে ৯৯.২%, লুহানস্ক ৯৮.৪%, জাপোরিজিয়াতে ৯৩.১% এবং খেরসনের ৮৭% বাসিন্দার রাশিয়ার নাগরিক হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে,অন্য দেশে ঢুকে এলাকা দখল করে ভোট করিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে রাশিয়া। কে কার কথা শোনে! পুতিন ঘোষণা করে দিলেন, ওই চার এলাকা রাশিয়ার। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ নেট মাধ্যমে লিখেছেন,'ফলাফলেই সব পরিষ্কার। রাশিয়ায় স্বাগত।' 

আরও পড়ুন

এটা যেন ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি। ওই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া এবং ইউক্রেনে সংঘাত শুরু হয়েছিল৷ ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ফলে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয়। ইয়ানুকোভিচ রুশ সমর্থিত নেতা। ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ইয়ানুকোভিচ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ২৭ ফেব্রুয়ারি রুশ সেনাবাহিনী ক্রিমিয়া দখল করে। ২০১৪ সালের মার্চে ক্রিমিয়াতে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে দাবি করা হয়, ৯৭ শতাংশ মানুষ রাশিয়ায় যোগ দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। ১৮ মার্চ ক্রিমিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অংশ হয়।

ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়ার হামলার পর জাপোরিঝিয়াতে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হন। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার রাশিয়াকে ‘সন্ত্রাসী দেশ’ এবং ‘রক্ত পিপাসু’ হিসেবে নিশানা করেছেন। দক্ষিণ জাপোরিঝিয়ায় রাশিয়ার গোলাবর্ষণের পর জেলেনস্কি বলেছিলেন,'কেবল সন্ত্রাসীরাই এটা করতে পারে। রক্তের পিপাসা! প্রতিটি ইউক্রেনীয় জীবনের জন্য আপনি অবশ্যই জবাব দেবেন।'

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement