ক্রেমলিনে (Kremlin) হামলার নৃশংস বদলা নিল রাশিয়া (Russia)। ইউক্রেনের খেরসনে এযাবত্কালের সবচেয়ে বড় হামলা চালাল মস্কো (Moskow)। একটি সুপারমার্কেটে ড্রোন হামলা চালাল রাশিয়া। কম করে ২১ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। ৪৮ জন গুরুতর আহত।
ইউক্রেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম 'কিভ পোস্ট'-এর খবর অনুযায়ী, ইউক্রেনের রাজধানী কিভেও দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। আরও ড্রোন হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কায় বাসিন্দাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বাড়ি ছেড়ে সরকারি শেল্টারে আশ্রয় নিতে।
লাগাতার বিমান হামলার অ্যালার্ট জারি ইউক্রেনে
বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে কিভ, চেরনিহিভ, সুমি, পোলতাভা, কিরোভোহ্রাদ, খারকিভ, ওডেসা, জাপোরিঝিয়ায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করতে ক্রেমলিনে হামলার পরেই ইউক্রেনে হামলা ব্যাপক ভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। গোটা ইউক্রেনজুড়ে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে মস্কো।
'আমরা পুতিনকে হামলা করিনি'
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, 'আমরা পুতিনকে বা মস্কোয় হামলা করিনি। আমরা আমাদের এলাকাতেই লড়াই করছি।' বর্তমানে ফিনল্যান্ড সফরে গিয়েছেন জেলেনস্কি। সেখানেই প্রেসকে জানান তিনি।
'জেলেনস্কিকে শেষ করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই'
অন্যদিকে TASS নিউজ এজেন্সির রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের বার্তা উদ্ধৃত বলেছে, 'আজ যে হামলা হয়েছে, তারপর জেলেনস্কি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকজনদের সম্পূর্ণ শেষ করে দেওয়া ছাড়া আরও কোনও রাস্তা খোলা রইল না। বিনা শর্তে আত্মসমর্পণের জন্য কিছু সই করারও প্রয়োজন নেই জেলেনস্কির। যা জানা যায়, হিটলার নিজেও কোনও এমন কিছুতে সই করেননি। কোনও না কোনও বিকল্প থাকবেই।'
ক্রেমলিনের আধিকারিকদের বক্তব্য, গভীর রাতে ড্রোন পাঠিয়ে ক্রেমলিনে পুতিনের বাসভবনে আক্রমণ হানার ছক কষেছিল ইউক্রেন। তবে পুতিন অক্ষত রয়েছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, 'আসলে মঙ্গলবার রাতের হামলার সময় প্রেসিডেন্ট ক্রেমলিনে ছিলেনই না। মস্কোর কাছে নিজের বাসভবন থেকে কাজ করছেন পুতিন। তাঁর সমস্ত কর্মসূচি পুরোপুরি অপরিবর্তিত রয়েছে।