
বেলারুশের পুরনো এয়ারবেসে হাইপারসোনিক মিসাইল মোতায়েন করতে চলেছে রাশিয়া। এমনটাই দাবি করেছেন দুই আমেরিকান গবেষক। তাঁরা স্যাটেলাইটের ছবি দেখেই এই দাবি করেছেন বলে খবর। আর এই ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম বলে জানা গিয়েছে।
তাই এই খবর যদি সত্যি হয়, তাহলে ইউরোপের রাতের ঘুম উড়ে যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বেলারুশের এয়ারবেসে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার ফলে গোটা ইউরোপেই আক্রমণ করতে পারবে রাশিয়া।
কীভাবে মিলল খোঁজ?
ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবালি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিসের জেফরি লুইস এবং ভার্জিনিয়ার সিএনএ রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিসের জেকার ইভেলেথ এই দাবি করেছে। তারা বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট সংস্থা প্ল্যানেট ল্যাবের ছবি বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। এই ছবিতে তাঁরা এয়ারবেসে নতুন নতুন কনস্ট্রাকশন হতে দেখেছেন।
এই ছবি দেখে গবেষকরা ৯০ শতাংশ নিশ্চিত যে মোবাইল ওরেশিঙ্ক লঞ্চার মোতায়েন করা হবে বেলারুশের ক্রিচেভ শহরের একটা পুরনো এয়ারবেসে। এই এয়ারবেস মস্কোর দক্ষিণপশ্চিমে ৪৭৮ কিমি দূরে অবস্থিত।
ওরেশিঙ্ক মিসাইল কী?
এটি একটি হাইপারসোনিক মিসাইল। এর রেঞ্জ মাঝারি। আরও নির্দিষ্ট করে বললে এটির রেঞ্জ ৫৫০০ কিমি। আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন যে তাঁর ইচ্ছে রয়েছে এই ধরনের মিসাইলকে বেলারুশে নিয়ে যাওয়ার। তবে এই সব ক্ষেপণাস্ত্রের আসল ঠিকানা এখনও জানান হয়নি।
যতদূর খবর, রাশিয়া ওরেশিঙ্ক মিসাইলের পরীক্ষা করে ২০২৪ সালে। ইউক্রেনের যুদ্ধের সময়ই এই কাজটা করে তারা। পুতিন জানিয়েছেন যে এই মিসাইলের গতি অত্যন্ত বেশি। আর কারও পক্ষেই এই মিসালইকে আটকানো সম্ভব নয়।
কী করতে চলেছে রাশিয়া?
আসলে NATO নিয়ে একবারেই সন্তুষ্ট নয় রাশিয়া। তারা মনে করে, এর অধীনস্ত দেশগুলিই ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে। যার ফলে চলছে যুদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে NATO-কে চাপে রাখতেই আদতে এই মিসাইলগুলিকে বেলারুশে মোতায়েন করতে চাইছে রাশিয়া। যাতে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে ভয় বজায় থাকে।
কতগুলি মিসাইল নিয়ে যাওয়া হতে পারে
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছে যে ইতিমধ্যেই একটি মিশাইল মোতায়েন করা হয়েছে। তবে আরও ১০টি মিশাইল মোতায়েন করা হবে। তবে সেগুলি কোথায় মোতায়েন করা হয়েছে, সেই সম্পর্কে কিছুই জানান হয়নি। যদিও আপাতত রাশিয়ার নতুন চালের দিকে নজর রয়েছে আমেরিকা এবং গোটা ইউরোপের।