Advertisement

Russia Ukraine War: যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি রাশিয়া, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরেই জানালেন পুতিন

গত বছরের মাঝামাঝি থেকে রাশিয়ার বাহিনী অগ্রসর হতে থাকে এবং বর্তমানে তারা ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ভ্লাদিমির পুতিনডোনাল্ড ট্রাম্প, ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ভ্লাদিমির পুতিন
Aajtak Bangla
  • মস্কো,
  • 14 Mar 2025,
  • अपडेटेड 7:44 AM IST
  • যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি রাশিয়া
  • ভ্লাদিমির পুতিন একটি শর্তও আরোপ করেছেন
  • রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাশিয়া  নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির দিকে নিয়ে যেতে হবে এবং সংঘাতের মূল কারণগুলির সমাধান করতে হবে।

ক্রেমলিনে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, 'আমরা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সমর্থন করি। তবে এই বিরতি এমন হতে হবে যাতে এটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং এই সংকটের মূল কারণগুলি দূর হয়।'

গত বছরের মাঝামাঝি থেকে রাশিয়ার বাহিনী অগ্রসর হতে থাকে এবং বর্তমানে তারা ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন, তিনি এটি বন্ধ করতে চান। বুধবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প জানান, তিনি রাশিয়াকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন এবং ইউক্রেন এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। ট্রাম্প একে 'রক্তস্নান' বন্ধ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

পুতিন ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'মূল ধারণাটি সঠিক, এবং আমরা অবশ্যই এটিকে সমর্থন করি। তবে কিছু বিষয় রয়েছে যা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। আমি মনে করি, আমাদের আমেরিকান সহযোগীদের সঙ্গেও কথা বলা দরকার।' তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে তিনি শীঘ্রই ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলার কথা ভাবছেন। এর মধ্যেই, রুশ বাহিনী পশ্চিমাঞ্চলের কুর্স্ক অঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট পুতিন সামরিক কমান্ড পোস্ট পরিদর্শন করেছেন। এই সময়ে তিনি সামরিক পোশাক পরিধান করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে, ইউক্রেন এই অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা করছে।

বিশ্বের দৃষ্টি এখন এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার দিকে। রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনার ফলাফলই নির্ধারণ করবে ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement