রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধের আবহে আবারও পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, রাশিয়া এই বছর ইউক্রেনে তৃতীয় বৃহত্তম বিমান হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় অন্তত ৫৭৪টি ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই পশ্চিম ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়।
হতাহতের ঘটনা
সূত্রে জানা গেছে, এ হামলায় অন্তত একজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি বা আলোচনার কোনো ইঙ্গিত এখনও মেলেনি।
কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠকে বসেছিলেন, যদিও তাতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে জেলেনস্কি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি আরও বলেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া বা তুরস্কে নিরপেক্ষ স্থানে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যদিও হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে বৈঠকের প্রস্তাব বাতিল হয়েছে।
মূল লক্ষ্যবস্তু
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা দাবি করেছেন, রাশিয়ার হামলা পশ্চিম ইউক্রেনের একটি মার্কিন ইলেকট্রনিক্স প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত হয়েছে। এ অঞ্চল সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দূরে হলেও পশ্চিমা সামরিক সহায়তার প্রধান রুট হওয়ায় এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ইউক্রেনের পাল্টা আঘাত
জুনের শুরুতে ইউক্রেন রাশিয়ার বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৪১টি রাশিয়ান বোমারু বিমান ধ্বংস করার দাবি করে। অনুমান করা হয়, এতে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর প্রায় ৩০ শতাংশ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলার তুলনামূলক বিশ্লেষণ
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ড্রোন ভূপাতিত করার সংখ্যার ভিত্তিতে এই হামলা ছিল রাশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম, আর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সংখ্যার নিরিখে অষ্টম বৃহত্তম। এর আগে রাশিয়া এক দিনে ৪৭৭টি ড্রোন এবং ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল, যার মধ্যে অধিকাংশই ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিহত করেছিল।