Advertisement

Russia-Ukraine conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর, কোন এলাকা কার কব্জায়, ক্ষয়ক্ষতিই বা কত?

এক বছর অতিক্রম করল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন। যুদ্ধের বছরপূর্তির প্রাক্কালে পুতিন সেই নির্দেশের সমর্থনে কথা বলছেন। অন্যদিকে শক্তিধর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন করেছেন।

ফাইল ছবিফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 24 Feb 2023,
  • अपडेटेड 3:33 PM IST
  • এক বছর অতিক্রম করল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
  • রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন।

এক বছর অতিক্রম করল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন। যুদ্ধের বছরপূর্তির প্রাক্কালে পুতিন সেই নির্দেশের সমর্থনে কথা বলছেন। অন্যদিকে শক্তিধর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন করেছেন।

গোটা বিশ্ব যে যুদ্ধের ভয় করছিল, শুক্রবার সেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে, শান্তির গন্তব্য বহু দূরে। এখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কোন দিকে মোড় নেবে? 

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ বাহিনীর হাজার হাজার সৈন্য যখন ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনে, বিশাল এক ট্যাংক আর সাঁজোয়া বহর এগিয়ে যাচ্ছে কিয়েভের দিকে- তখন ইউক্রেনের পরাজয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর একটি দেশের বিরুদ্ধে এক অসম লড়াইয়ে ইউক্রেন কতদিন টিকতে পারবে, তা নিয়ে অনেকেই ছিলেন সন্দিহান। কিন্তু এক বছর পর এই যুদ্ধ এখনো চলছে।

আরও পড়ুন

যুদ্ধে উভয় পক্ষেরই বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সবাইকে যা অবাক করেছে, তা হলো রাশিয়ার মতো এক বিরাট ক্ষমতাধর দেশের সামরিক দুর্বলতা। যুদ্ধে প্রথম কিছু সাফল্য দেখালেও রাশিয়াকে ইউক্রেনের অনেক এলাকা হতে পিছু হটতে হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সংঘাতের কারণে ভুগতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকেই। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জ্বালানি তেল ও খাদ্য রফতানি। যার প্রভাব পড়েছে সবক্ষেত্রে; একদিকে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম, অন্যদিকে দেখা দিয়েছে খাবারের সংকট। মুদ্রাস্ফীতির জেরে নাকাল নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো।

কয়েকবার আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি। কিছুদিন পরপরই হামলা জোরদার করছে রাশিয়া। বেশ কয়েকবার পারমাণবিক হামলার হুমিকও দিয়েছে মস্কো। পশ্চিমা অস্ত্রে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছ থেকে জাগুয়ার টু ট্যাংকের মতো ভারি অস্ত্র পেতে শুরু করেছে কিয়েভ। আলোচনা হচ্ছে যুদ্ধ বিমান সরবরাহ নিয়েও।

এদিকে ইরান, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, পুতিনকে সামরিক সহায়তা করতে যাচ্ছে চীনও। যদিও, পশ্চিমাদের এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশগুলো। আর, শুরু থেকেই অবশ্য মস্কোকে সমর্থন দিয়ে আসছে বেলারুশ। পরিস্থিতি যেভাবে ঘোলাটে হচ্ছে তাতে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার পাশাপাশি বাড়তে পারে পরিধি।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement