শান্তির বদলে আরও অবনতি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধে। বন্দি বিনিময়ের মধ্য়েই ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের নানা শহরে ৩৬৭টি ড্রোন এবং মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যা এখনও পর্যন্ত যুদ্ধের সবচেয়ে বড় হামলা। এই হামলায় জাইতোমিরে তিন শিশু সহ ১৩ জন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। কিয়েভ, খারকিভ, মাইকোলাইভ, টেরনোপিল এবং খমেলনিটস্কিতে হামলা হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী ২৬৬টি ড্রোন এবং ৪৫টি মিসাইল ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক এবং অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিয়েভে ১১ জন আহত হয়েছেন, যেখানে খমেলনিটস্কিতে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার কিয়েভকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া। দক্ষিণ ইউক্রেনের মাইকোলাইভে রাশিয়ান ড্রোন হামলায় ৭৭ বছরের এক ব্যক্তি নিহত এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। এই হামলায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের ফলে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। চারিদিকে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, রাশিয়া দাবি করেছে যে তারা মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯৫টি ইউক্রেনের ড্রোন নামিয়েছে। যার মধ্যে ১২টি মস্কোর কাছে নামানো হয়েছে।
শান্তি আলোচনার পথ প্রশস্ত করার জন্য ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছিল। তার মধ্যেই এই হামলা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উভয় পক্ষই ১,০০০ জন বন্দি বিনিময় করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীরব থাকার সমালোচনা করেছেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক টেলিগ্রামে লিখেছেন, 'চাপ ছাড়া, কিছুই পরিবর্তন হবে না। রাশিয়া এবং তার মিত্ররা কেবল পশ্চিমা দেশগুলিতে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের জন্য শক্তি তৈরি করবে। মস্কো যতক্ষণ অস্ত্র তৈরি করার ক্ষমতা রাখে ততক্ষণ লড়াই করবে।'