বেলারুশে একদিকে রুশ এবং অন্যদিকে ইউক্রেনের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। এদিকে রাশিয়ার মিডিয়া একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে। তাদের দেশ ইউক্রেনের ওপর হামলা করার জন্য পরমাণু যুদ্ধাভ্যাস শুরু করে দিয়েছে। এই নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু নিজের রাষ্ট্রপতি পুতিনকে এ বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে রাশিয়ার উত্তরের প্রশান্ত সাগরের দিকে মিসাইল কমান্ড কেও এলার্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বেলারুশে পরমাণু হাতিয়ার নিযুক্ত করতে পারে
অন্যদিকে রাশিয়া নিজের পড়শি বেলারুশে পরমাণু হাতিয়ার নিযুক্ত করতে পারে। এটা নিয়ে বেলারুশকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অ্যালার্ট জারি করেছে। বেলারুশের রাজধানী মিংস্কে আমেরিকা দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে আমেরিকার নিজের নন ইমার্জেন্সি স্টাফ এবং তাদের পরিবারদের ফেরত নিয়ে গিয়েছে।
সংঘর্ষ শুরু হতে পারে ন্যাটোর সঙ্গে
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা পরিস্থিতিতে ন্যাটোর আক্রমণাত্মক বয়ানের পর রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন রবিবার দেশের পরমাণু শক্তিকে হাই অ্যালার্টে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে ইউকের বিদেশ সচিব সতর্ক করে দিয়েছেন, যদি রাশিয়াকে ইউক্রেনে আটকানো না যায়, তাহলে পরিস্থিতি নাটোর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে পারে।
প্রতিবেশী দেশগুলিকে হুমকি পুতিনের
জানা গিয়েছে যে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রত্যেকেই রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রতিবেশী দেশগুলির লাগাতার পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে। শেষ বৃহস্পতিবার পুতিন ইউক্রেনকে সমর্থন করা দেশ গুলিকে হুমকি দিতে শুরু করেন এবং জানান যে যদি বাইরের কোন দেশ এর মাঝখানে নাক গলায় তাহলে তার পরিণাম ভুগতে হবে। যা এর আগে ইতিহাস আজ পর্যন্ত দেখেনি এবং ভাবেওনি।
রাশিয়ার কাছে সবচেয়ে বেশি পরমাণু হাতিয়ার
জানিয়ে দেওয়া যাক, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ৫ হাজার ৯৭৭টি পরমাণু হাতিয়ার রাশিয়ার কাছেই আছে। যেখানে আমেরিকার কাছে রয়েছে ৫ হাজার ৫৬৮ পরমাণু হাতিয়ায়। এছাড়া চিনের কাছে ৩৫০ ফ্রান্সের কাছে ২৯০ ব্রিটেনের কাছে ২২৫ ভারতের কাছে ১৬০ টি নিউক্লিয়ার উইপন রয়েছে। জানা গিয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের হামলার পর দু'দেশের মধ্যে যুদ্ধ জারি হয়েছে।