রাশিয়ার সুদূর পূর্ব অঞ্চলে চিন সীমান্তের কাছে সোমবার এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। সাইবেরিয়া-ভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইন্সের একটি An-24 যাত্রীবাহী বিমান, যাতে প্রায় ৫০ জন আরোহী ছিলেন, বিধ্বস্ত হয়ে যায় এবং সবাই প্রাণ হারান বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টিন্ডা শহরের বিমানবন্দরে অবতরণের সময় হঠাৎ করে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েক মিনিট পর উদ্ধারকারী দল বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়, যা তখনো জ্বলছিল। প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং ঘন কুয়াশার কারণে কম দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হতে পারে।
প্রাথমিক যোগাযোগ ব্যর্থ হওয়ার পর বিমানটি দ্বিতীয়বার অবতরণের চেষ্টা করছিল। ঠিক সেই সময়েই এটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাসিলি অরলভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, “বিমানটির সন্ধানে প্রয়োজনীয় সব বাহিনী ও সম্পদ মোতায়েন করা হয়েছে।” তিনি জানান, বিমানে ৪৩ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু ছিলেন, যার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তবে জরুরি অবস্থা মন্ত্রণালয় কিছুটা ভিন্ন সংখ্যা জানিয়েছে, তাদের অনুমান অনুযায়ী যাত্রী প্রায় ৪০ জনের মতো ছিলেন।
এই দুর্ঘটনার ফলে পুরো আমুর অঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাটি মস্কো থেকে প্রায় ৬,৬০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই একই অঞ্চলে তিনজন আরোহী নিয়ে একটি অনিবন্ধিত রবিনসন R66 হেলিকপ্টার নিখোঁজ হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা রাশিয়ার আঞ্চলিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তদন্ত চলছে, তবে আপাতত পাইলটের ত্রুটি এবং প্রতিকূল আবহাওয়া দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি ইতিমধ্যেই গভীর সমবেদনা জানিয়েছে প্রশাসন।