নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে কোরান পা দিয়ে মাড়িয়ে দেওয়া এবং পাতা ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে সৌদি আরব। ডানপন্থী ডাচ কার্যকর্তার কোরানের অপমানের নিন্দা করে সৌদি আরব জানিয়েছে যে বারবার হতে থাকা এই ধরনের ঘটনার ঠিক নয়।
সৌদি আরবের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে কোরান ছিঁড়ে ফেলার এই ঘটনার নিন্দা করে রবিবার একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের এই নিন্দনীয় ঘটনা বার বার হওয়ার ওপর নিন্দা করেছে। এভাবে এই ধরনের ঘটনা কোনও পরিস্থিতিতেই সঠিক নয় বলে তাঁরা মন্তব্য করেছেন। এইভাবে ঘটনা এবং ভেদাভেদকে বাড়িয়ে তুলবে। এমন ঘটনা সহিষ্ণুতা, সংযম, প্রশ্রয়কে খারিজ করার আন্তর্জাতিক প্রয়াস এর পরিপন্থী।
সৌদি মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা, পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সম্মানের সম্পর্ককে কমজোর করে রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
কুরআনের তুলনা মাইন ক্যাম্ফের সঙ্গে
অগাস্ট মাসে দক্ষিণপন্থী ডাচ সংগঠন প্যাগিডার নেতা এডউইন ভোগানসওয়েলড তুর্কি দূতাবাসের সামনে কোরানের প্রতি অমর্যাদা প্রকাশ করে। নেদারল্যান্ডের সরকার এই ঘটনার নিন্দা করে এবং সরকারের কাছে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করার আইনি কোনও শক্তি নেই বলে জানায়।
ভোগানসওয়েলড জানুয়ারি মাসে এই ঘটনা প্রদর্শন করার সময় সংসদের বাইরে কোরানের একটি প্রতিলিপি ছিঁড়ে ফেলে এবং ইসলামের পবিত্র পুস্তকের তুলনা এডলফ হিটলারের মাইন ক্যাম্ফের সঙ্গে করে। কোরান ছিঁড়ে ফেলার সময় ভোগানসওয়েল্ড যে বক্তব্য পেশ করে, তা তাকে আইনি জটিলতায় জড়িয়ে ফেলে।
ঘটনা আটকানোর জন্য করা হয় জরুরি ভিত্তিক আইনি পদক্ষেপ
সোমবার মহাসচিব জসিম মহাম্মদ আল বুদেবি কোরান ছিঁড়ে ফেলার ঘটনার নিন্দা করেন এবং বলেন যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক উত্তেজক কাজের মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত এবং প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ করা উচিত।
সৌদি সরকারি প্রেস এজেন্সি, সৌদি প্রেস এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী জানিয়েছেন যে সমস্ত দেশে, এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত এবং অভিব্যক্তির স্বাধীনতার অজুহাতে বারবার হতে চলা এই ধরনের ঘটনার উপর প্রতিবন্ধকতা জারি করা উচিত।
সম্প্রতি ইউরোপীয় দেশে বারবার কোরান জ্বালানোর ঘটনা সামনে আসছে
জুন মাসে বকরী ঈদের সময় মোমিকা সালমান নামে এক যুবক সুইডেনের স্টকহোমে সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে কোরানের একটি প্রতিলিপি জ্বালিয়ে দেয়। সৌদি আরব সমেত প্রায় সমস্ত মুসলিম দেশ এই ঘটনার নিন্দা করে এবং বলে যে, সুইডেনের আধিকারিকদের এই ধরনের ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ করা উচিত। এরপর জুলাই মাসে ২ জন ব্যক্তি সুইডেনের সংসদের বাইরে কোরানের একটি প্রতিলিপি জ্বালায় এবং পুড়িয়ে দেয়।