Advertisement

জখমদের মলম-পট্টি করা শিখছে পড়ুয়ারা, ভারতের হামলার ভয়ে থরহরিকম্প PoK

যে কোনও মুহূর্তে ভারত হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কায় কাঁপছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। মোকাবিলা করতে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসাগুলি। ফার্স্ট এইডের কাজ শিখছে পড়ুয়ারা।

PoKPoK
Aajtak Bangla
  • 03 May 2025,
  • अपडेटेड 10:49 AM IST
  • বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসা
  • মলম-পট্টি, আগুনের মোকাবিলা করা শিখছে পড়ুয়ারা
  • আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে PoK

ভারতের হামলার ভয়ে কাঁটা পাক অধিকৃত কাশ্মীর। প্রায় ১ হাজার মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে। একইসঙ্গে শিশু-কিশোরদের আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জখমদের চিকিৎসা করা শেখানো হচ্ছে। 

PoK-র প্রধান শহর মুজফফরাবাদে জরুরি দপ্তরের সেবা কর্মীরা স্কুলের পড়ুয়াদের মলম-পট্টি করা শেখাচ্ছেন। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কীভাবে জখমদের প্রাথমিক চিকিৎসা করতে হয়, কীভাবে স্ট্রেচার নিয়ে যেতে হয়, এমনকী আগুন লাগলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তাও শেখানো হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। 

পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রশাসনের দাবি, যে কোনও মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে ভারত। আর তাই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে তারা। সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নীলম ঘাঁটি এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) কার্যত অঘোষিত জরুরি অবস্থা শুরু হয়েছে। পর্যটকদের গতিবিধিতেও নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার, ওষুধপত্র-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বস্তু মজুত করা শুরু হয়েছে। এমারজেন্সি ফান্ডে এক আরব ট্রান্সফার করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমস্ত হোটেল, গেস্টহাউস এবং বেঙ্কয়েট হলগুলির মালিকদের প্রয়োজনে সেনাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। মার্বেল চেকপোস্ট থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পর্যটককে। লীপা ঘাঁটি এলাকার বাসিন্দাদেরও নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সুরক্ষা এজেন্সিগুলির সঙ্গে সকলকে সহযোগিতা করে চলতে বলা হয়েছে। 

আইনমন্ত্রী মিঞা আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, 'আমরা এক ধূর্ত, ক্রূর এবং ষড়যন্ত্রকারী শত্রুর মোকাবিলা করছি। এই শত্রু যে কোনও সময়ে যে কোনও রকমের পদক্ষেপ করতে পারে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।'

জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের ছবি প্রকাশ করেছে। জানা গিয়েছে, ওই হামলায় দুই পাকিস্তানি এবং এক স্থানীয় জড়িত ছিল। প্রত্যেকেই পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠনের সদস্য। তাদের সন্ধান দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমান পহেলগাঁও হামলায় জড়িতরা দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গল এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে ভূস্বর্গ জুড়ে। 

Advertisement

 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement