আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৪,০০০-এরও বেশি হতাহত হয়েছে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন আফগানিস্তানের আধিকারিকরা।
আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ANDMA) জানিয়েছে, দেশের পশ্চিম অংশে দু'টি ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। তাতে প্রায় ২,০০০ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
'এখনও পর্যন্ত, হতাহতের বিষয়ে আমরা যে পরিসংখ্যান পেয়েছি তাতে দুর্ভাগ্যবশত ৪,০০০-এরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। আমাদের তথ্য অনুসারে, প্রায় ২০টি গ্রামে, ১,৯৮০ থেকে ২,০০০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। ANDMA-এর মুখপাত্র মোল্লা সাইক কাবুলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বলেন।
শনিবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল কেঁপে ওঠে। প্রথম কম্পন স্থানীয় সময় সকাল ১১:১০ (0640 GMT)নাগাদ ঘটে।
ANDMA মুখপাত্র বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৫টি উদ্ধারকারী দলের মোট এক হাজারেরও বেশি উদ্ধারকারী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ করছে।
আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ সোমবার হেরাত প্রদেশে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শনে যান।
রবিবার চিন আফগান রেড ক্রিসেন্টকে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য নগদ ২ লক্ষ মার্কিন ডলার প্রদান করেছে।
ভূমিকম্পে হেরাত শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের গ্রামীণ জেলা জিন্দাজান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই একটি জেলায় প্রায় ১০০% বাড়িঘর সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
জিন্দাজানের বিভিন্ন গ্রামের ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাড়িগুলি সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
তালিবান সরকার এবং উদ্ধারকারী সংস্থাগুলি প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা অনুমান করতে বা কতজন নিখোঁজ তা বের করতে বিপাকে পড়েছিল। সেটি খুব স্বাভাবিক বিষয়ও বটে। কারণ আফগানিস্তানের এই ধরনের প্রত্যন্ত গ্রামের জনসংখ্যার রেকর্ড সেদেশের সরকারের কাছে থাকে না।
তাছাড়া এই অঞ্চলে মূলত যুদ্ধ এবং খরার কারণে বাস্তুচ্যুত আফগানদের বসবাস। ফলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে ঠিক কতজন সেখানে বসবাস করছে, তা জানা কঠিন।