অস্ট্রিয়ার স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় উত্তেজনা। কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যদিও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। জখম বহু। মনে করা হচ্ছে, আততায়ীও নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে কী কারণে এই হামলা তা জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, একজনই এই হামলা চালিয়েছে। সে স্কুল চত্বরে বন্দুক নিয়ে প্রবেশ করে। তারপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে।
পুলিশের অনুমান, বন্দুকবাজ নিজেও একজন ছাত্র। সেই স্কুলে প্রবেশ করে গুলি চালাতে শুরু করে। যদিও সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, পরে বাথরুমের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় বন্দুকবাজের দেহ। সে আত্মঘাতী হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে এই খবর এখনও জানানো হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, সকাল ১০টা নাগাদ অস্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরের সেই সেকেন্ডারি স্কুলের ভিতর একের পর এক গুলির শব্দ পাওয়া যায়। শিক্ষক ও পড়ুয়ারা স্কুল চত্বর থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে জখম হয়েছেন অনেকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান কেউ কেউ।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। যে রাস্তার পাশে স্কুলটি অবস্থিত সেটা ঘিরে ফেলা হয়। সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। গোটা বিল্ডিংয়ের চারপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে তল্লাশি অভিযান।
ক্রোন সংবাদপত্রে জানানো হয়েছে, গুলিবর্ষণের সময় একজন শিক্ষিকা ছাত্রদের সঙ্গে ক্লাসরুমে নিজেদের বন্দি করে রাখেন। যাতে বন্দুকবাজ সেখানে প্রবেশ না করতে পারে। এদিকে পুলিশ সেখানে যাওয়ার পর অভিভাবকরাও স্কুলে পৌঁছন। অনেকে তাঁদের সন্তানকে পেলেও কেউ কেউ হাসপাতালে তখন চিকিৎসাধীন।
এর আগে ২০১৫ সালের ২০ জুন গ্রাজে গুলিবর্ষণ হয়েছিল। সেবার তিনজন নিহত হন।