মহাকাশে কী করছেন শুভাংশু শুক্লারা? এককথায় মানবসভ্যতার ইতিহাসে আরও নতুন অধ্যায় গড়ছেন। দেড় দিন ধরে মহাকাশে রয়েছেন তাঁরা। অবশেষে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের সঙ্গে জুড়ে গেল তাঁদের স্পেসক্রাফ্ট। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS) সঙ্গে নিজেকে জুড়ল স্পেসএক্স-এর ড্রাগন ক্যাপসুল। ওই ক্যাপসুলেই রয়েছেন ভারতের গর্ব, ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা।
শুভাংশুর চোখে মিশ্র আবেগ
স্পেসএক্স ও NASA-এর মিলিত Axiom-4 মিশনে অংশ নিয়েছেন শুভাংশু। পৃথিবী থেকে ৪১৮ কিলোমিটার ওপরে, ২৮,০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে তাঁদের মহাকাশযান এখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রায় ২৬ ঘণ্টা আগে, এখন চলছে শেষ পর্ব—'ডকিং'।
ডকিং মানে শুধু প্রযুক্তি নয়, এটা প্রতিটি শ্বাস ধরে রাখা মুহূর্ত
প্রযুক্তিগতভাবে বলা যায়—ম্যাগনেটিক গ্রিপার দিয়ে শুরু হবে 'সফট ক্যাপচার', তার পরে ল্যাচ দিয়ে 'হার্ড ক্যাপচার' হবে। কিন্তু সাংবাদিক চোখে বলতে গেলে—এটা এমন এক মুহূর্ত, যেখানে একজন ভারতীয়র হাত ছুঁয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে। ভিতরে বসে থাকা শুভাংশু নিজে প্রত্যক্ষ করছেন প্রতিটি সিস্টেমের গতি, অবস্থান, ও সুরক্ষা।
লখনউয়ের সেই যুবক, আজ মহাকাশে ভারতের প্রতিনিধি
শুভাংশুর যাত্রা শুধু একটি মিশনের অংশ নয়। লখনউয়ের পাড়ার সেই ছেলে, যিনি যুদ্ধবিমান ওড়াতেন, আজ বিশ্বের অন্যতম বড় স্পেস ল্যাবরেটরির অংশ হতে চলেছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অভিজ্ঞ মহাকাশচারী পেগি হুইটসন। আর শুভাংশুর সঙ্গে রয়েছেন ১৩০ কোটির দেশ ভারত।
ক্রু ভিতরে ঢুকবেন আরও কিছু সময় পর
ডকিং হয়ে গেলে একবার পরীক্ষা হবে, কোথাও কোনও লিক হচ্ছে কি না, চাপ ঠিক আছে কি না। তারপরেই খুলবে ISS-এর দরজা। তারপরেই, শুভাংশু শুক্লার জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে। আর ভারতীয় মহাকাশচর্চার খাতায় লেখা হবে এক নতুন লাইন।