আগামী ১১ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ পৌঁছবেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। অ্যাক্স-৪ (Ax-4) মিশনে মহাকাশে যাচ্ছেন তিনি। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মিশন এটি।
প্রথমে অবশ্য ৮ জুন লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল। তবে খারাপ আবহাওয়া এবং মহাকাশযানের কিছু টেস্টিং বাকি থাকায় তা পিছিয়ে ১০ জুন করা হয়।
এই একই ক্যাপসুলে ফিরেছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস
সম্প্রতি যে ড্রাগন ক্যাপসুলে মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস পৃথিবীতে ফিরেছিলেন, সেই একই ক্যাপসুলে স্পেস স্টেশন যাচ্ছেন শুভাংশু।
এই মিশনের উদ্দেশ্য কী?
এটি স্পেসএক্সের ড্রাগন মহাকাশযানের ৫৩ তম মিশন। এবারের মিশনে এই নিয়ে ১৫ বার মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্রেডেন্সিয়াল জমবে স্পেসএক্স-এর ভাঁড়ারে।
শুভাংশু গগনযান প্রোগ্রামের চার মহাকাশচারীর মধ্যে অন্যতম। তাঁর এই মহাকাশ অভিযান নিঃসন্দেহে ভারতীয়দের জন্য এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
ভারত কত বিনিয়োগ করেছে?
এই মিশনে ভারত ইতিমধ্যে ৫৪৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। মহাকাশযান লঞ্চের প্রস্তুতি ও শুভাংশুর ট্রেনিংয়ের পিছনে এই টাকা খরচ হয়েছে।
তবে শুধুমাত্র শুভাংশু-ই নয়, তাঁর ব্যাকআপ হিসাবে গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত নায়ারও রেডি ছিলেন। তবে তিনি আপাতত গগনযান মিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শুভাংশুকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে স্পেসএক্স ও অ্যাক্সিয়ম স্পেস নামের দু'টি সংস্থা।
মহাকাশ গবেষণা
ISS-এ যাওয়ার পর মূলত সাতটি গবেষণা নিয়ে কাজ করবেন শুভাংশু। ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রিসার্চ প্রোগ্রামের অংশ এগুলি। বেশিরভাগই জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত। যেমন ধরুন, মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে উদ্ভিদের বীজ ও মানুষের শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন হয়, তার পর্যবেক্ষণ করা। এর পাশাপাশি NASA-র জন্য আরও পাঁচটি গবেষণা করবেন।
ISRO-এর প্রোজেক্ট ডিরেক্টর সুধীশ বলান জানান, ভারতীয় বিজ্ঞানীরাই বিভিন্ন গবেষণার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার মধ্যে থেকে এগুলি বেছে নেওয়া হয়েছে। NASA-র সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণা চালানো হবে।
মহাকাশযানের বিষয়ে জানুন
AX-4 মিশনের জন্য যে ড্রাগন মহাকাশযানটি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি সম্পূর্ণ নতুন। স্পেসএক্সের ড্রাগন মিশন ডিরেক্টর সারা ওয়াকার জানিয়েছেন, এই যানের একটি পোষাকি নামও দেওয়া হবে। মহাকাশচারীরা নিজেরাই সেই নাম ঠিক করবেন। ক্রু কম্যান্ডার পেগি হুইটসন জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই নাম ঘোষণা হবে।
সম্প্রতি স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। কিন্তু NASA ও Axiom জানিয়েছে, এই মিশনে কোনওরকম রাজনৈতিক পরিস্থিতির কোনও প্রভাব পড়বে না।