মহাজাগতিক দুনিয়ায় প্রতিনিয়ত কত কী কাণ্ডই না ঘটে চলেছে। তার কতটুকু খবরই আমরা পাই। তবে মহাকাশে কী ঘটছে এবং তার ফলে পৃথিবীতে কোনও প্রভাব পড়বে কিনা, এই নিয়ে নিরন্তর আলোচনা চালান বিজ্ঞানীরা। তেমনই একটি মহাজাগতিক ঘটনার কথা এ বার প্রকাশ্যে এল, যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর গত ৬ বছরে এই প্রথম সবচেয়ে শক্তিশালী সূর্যশিখা প্রকাশ করেছে সূর্য। বিস্ফোরণের দরুণ এই সৌরশিখা নির্গত হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ৩৫১৪ সানস্পট থেকে এক্স২.৮ ক্লাস সৌরশিখা নির্গত হয়েছে। যা অত্যন্ত শক্তিশালী।
এই গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তুলেছে নাসার সোলার ডায়নামিক্স অবজার্ভেটরি। বর্তমান সৌরচক্র ২৫-এ সবচেয়ে শক্তিশালী সূর্যশিখা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়তে চলেছে পৃথিবীতে।
কী প্রভাব পড়তে পারে?
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, সূর্যে করোনাল মাস ইজেকশনে (সিএমই) শুক্র অথবা শনিবার জি ১ শ্রেণির ভূচৌম্বকীয় ঝড় হতে পারে। এই সূর্যশিখার উপাদান পৃথিবীতে এলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সেক্ষেত্রে রবিবার জি২ অথবা শক্তিশালী জি ৩ শ্রেণির ঝড় হতে পারে। আমেরিকায় শর্টওয়েভ রেডিয়ো ব্ল্যাকআউট হয়েছে। সিগন্যাল হারানোর মতো ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে হ্যাম রেডিয়ো।
তবে, এই সূর্যশিখা সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে না। এর কিছু উপাদান পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে। এর ফলেই ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে।
সূর্যশিখা কী?
সূর্যের বায়ুমণ্ডলে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের ফলে তৈরি হওয়া তীব্র বিস্ফোরণ হল সৌরশিখা বা সূর্যশিখা। তবে সবসময় বিস্ফোরণ হয় না। এর সঙ্গে সোলার ফ্লেয়ারও তৈরি হয়। এর প্রভাব সরাসরি মানুষের উপর পড়ে না। এর প্রভাবে স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হতে পারে। পাওয়ার গ্রিড খারাপ হয়ে যেতে পারে।