গত ৫০ বছরে সবচেয়ে বড় সৌরঝড় ঘটল। শক্তিশালী তুফানের সেই ভয়ঙ্কর নানা মুহূর্ত ধরা পড়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল ১-এর ক্যামেরায়। পৃথিবীর দিকে অত্যন্ত শক্তিশালী সৌর তরঙ্গ নিক্ষেপ করেছে সূর্য। বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল এক্স৮.৭। জানা গিয়েছে, গত ৫০ বছরে এই প্রথম এত বড় সৌর তরঙ্গ বিচ্ছুরিত হল সূর্য থেকে। ১১ থেকে ১৩ মে-র মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে।
ইসরো সূত্রে খবর, গত ১১ মে যে সৌর তরঙ্গ নিক্ষেপ করেছে সূর্য, তার তীব্রতা এক্স৫.৮। তবে এই সৌর তরঙ্গে ভারত এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনও ক্ষতি হয়নি। আমেরিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় এর প্রভাব পড়েছে।
নাসাও সৌর ঝড় পর্যবেক্ষণ করেছে। গত ১৪ মে সূর্য থেকে নির্গত সৌর তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করেছে NOAA-এর স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারও। দাবি করা হয়েছে, গত অর্ধ শতাব্দীতে এমন সৌর তরঙ্গ দেখা যায়নি। ১১ থেকে ১৪ মে-র মধ্যে সূর্যে ৪টি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর জেরেই গত সপ্তাহান্তে ভয়ঙ্কর সৌর ঝড় হয়েছে।
এই জোরালো সৌর তরঙ্গের কারণে সূর্যের মুখোমুখি পৃথিবীর অংশে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি রেডিং সঙ্কেত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পৃথিবীর বুকে সৌরঝড় আছড়ে পড়ায় উত্তর গোলার্ধের আকাশে নানা রঙের খেলা দেখা গিয়েছিল। যার বিভিন্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে।
আকাশে যেন লাল-নীল-সবুজ রঙের মেলা বসেছিল। আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া-সহ বহু দেশে দেখা গিয়েছে নর্দার্ন লাইট। গত শুক্রবার রাতে ভারতের লাদাখের আকাশও রঙিন
দেখাচ্ছিল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শক্তিশালী সৌর ঝড়ের প্রভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে।
২০০৩ সালে সৌর ঝড়ের প্রবাবে সুইডেনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়ার ট্রান্সফর্মার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অনেক সময় ঝড় থেমে যাওয়ার পর জিপিএস স্যাটেলাইট এবং গ্রাউন্ড রিসিভারের যোগাযোগ স্থাপনে সমস্যা তৈরি হয়।