আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার প্রতীক্ষা। তারপরই পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করবেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী নভশ্চর বুচ উইলমোর। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মহাকাশচারীরা। ভারতীয় সময় বুধবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ আমেরিকার ফ্লরিডার উপকূলে নামতে পারেন সুনীতা-সহ চার মহাকাশচারী।
এলন মাস্কের মাস্কের সংস্থার মহাকাশযান তাঁদের নিয়ে পৃথিবীতে ফিরছে। এই স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলের ভাড়া তাক লাগার মতো। স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে সাতজন মহাকাশচারীর বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এক একটি আসনের ভাড়া ৫৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায ৪৭৬ কোটি টাকা।
সুনীতা উইলিয়ামসদের ফেরার যাত্রাপথ মোট ১৭ ঘণ্টার। তীব্র গতিতে এই বাহন পৃথিবীর দিকে আসলেও যখন ১০০ কিলোমিটার দূরে থাকবে তখন রকেট থেকে মডিউলটি পৃথক হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তা প্রবেশ করার সময় গতিবেগ বেশি থাকবে। তখন রকেটের মূল চালিকা যন্ত্রটি পৃথক হয়ে যাবে। মডিউলটি পৃথিবীর দিকে আসবে। এরপর গতিবেগ ক্রমাগত কমতে থাকবে। মডিউল থেকে প্যারাশুটে নভোচররা বেরিয়ে আসবেন, ঝাঁপ দেবেন ফ্লোরিডা উপকূলের জলভাগে। সেখান থেকেই তাঁদের উদ্ধার করা হবে।
গত বছরের জুন মাসে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। মাত্র আট দিন পরই তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু বোয়িং স্টারলাইনা নামক যানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে তাঁদের ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। মহাকাশেই দিন কাটতে থাকে সুনীতাদের।
পৃথিবীতে ফেরার আশা দেখে যে সুনীতারা খুশি তার প্রমাণ মিলেছে সেদিনই যেদিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছয় ইলন মাস্কের মহাকাশযান। ক্রিউ-১০-এর চার মহাকাশচারী সেখানে নামেন। সহকর্মীদের সেখানে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন সুনীতারা। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। এখন তাঁদের ফেরা কেবল সময়ের অপেক্ষা মাত্র।