
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। এমনটাই বলেন পাকিস্তানের মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারা। তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তান সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কাজ করতে চাইছে না। যার ফলে এই শান্তি আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসতে হচ্ছে।
আর এই তথ্যই বলে দিচ্ছে যে আগামিদিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। বাঁধতে পারে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। যেতে পারে সাধারণ মানুষের প্রাণ।
কী জানা যাচ্ছে?
ইস্তানবুলে পাকিস্তান এবং আফগান তালিবান সরকার নিজেদের মধ্যে বৈঠক বসে। আর সেই আলোচনা কোনও অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে। যার ফলে ইসলামাবাদ নাকি সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে বলে দাবি অর্থাৎ বার্তা স্পষ্ট। কাবুল এবং ইসলামাবাদের মধ্যে চলতে থাকে সংঘর্ষ আরও বাড়বে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার চারদিনের আলোচনার ব্যর্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁর অভিযোগ, আফগান মাটি থেকে পরিচালিত হচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তাই এখন পাকিস্তান কোনও কথা শুনবে না। বরং তারা চালবে আক্রমণ।
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে আলোচনা ব্যর্থ হয়
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার আরও জানিয়েছেন, আসলে আফগান মাটি থেকে পাকিস্তানে বারবার হামলা চালানো হচ্ছে। আর সেটা মানতে চাইছে না আফগানরা। বরং তারা এই দাবি উড়িয়ে দিতে চায়। সেই কারণেই শান্তি আলোচনা করা যাচ্ছে না।
পাশাপাশি তিনি ভারতকেও এই অবস্থার জন্য দোষারোপ করেন। তাঁর মতে, ভারত নাকি সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছে। আর সেই সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তানের উপর। আর এটাই তাদের বিপদ বাড়াচ্ছে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান আসলে আফগানিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে। এমনকী পরোক্ষে ভারতের উপরও দিতে চাইছে চাপ। যদিও ভারত এবং আফগানিস্তান কেউই পাকিস্তানের ফাঁকা আওয়াজে কান দিতে নারাজ। উল্টে তাঁরা পাকিস্তানের উপর পাল্টা দোষ চাপাচ্ছেন।
তবে একটা বিষয় পরিষ্কার যে খুবই খারাপ দিকে যেতে পারে পরিস্থিতি। নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। যার ফলে আরও মৃত্যুর রয়েছে আশঙ্কা। এমনকী বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিগড়ে যাওয়ারও রয়েছে আশঙ্কা।