এখানে প্রস্রাব করবেন না, এই লেখা দেওয়াল সম্ভবত পৃথিবীর সব দেশেই রয়েছে। যেখানে সেখানে দেওয়ালে প্রস্রাব ঠেকানো ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের বহু দেশেই একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু বিষয়টি ঠেকাতে অভিনব পদক্ষেপ করল লন্ডন। শহরটির বার, রেস্তোরাঁ, থিয়েটার এবং অন্যান্য বিনোদনের জায়গাগুলিতে বিশেষ রঙ লাগানো হচ্ছে।
ওই রঙের বিশেষত্ব কী
ওই রঙ করা দেওয়ালে যেকোনও তরল ফেললেই তা পাল্টা ফিরে আসবে। তাই প্রস্রাব করলে তা যে করছে, তার গায়ে এসেই পড়বে।
এই অনন্য রঙের পিছনে মৌলিক বিজ্ঞান প্রকৃতি থেকে আসে। যেমন পদ্মের পাতায় জলের ফোঁটাগুলি লেগে থাকে না। বিজ্ঞানে এই বৈশিষ্ট্যটিকে হাইড্রোফোবিক বলে। এই প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হয়েছে লন্ডনের দেওয়ালে। পেইন্টটি বেশিরভাগই অ্যাসিটোন এবং সিলিকা দিয়ে তৈরি যার প্রধান উপাদান হল বালি। সুপারহাইড্রোফোবিক আবরণ। নির্মাতাদের মতে এতে তরল ছুঁড়লে তা ছিটকে আসবে।
রঙটি দুটি পর্যায়ে লাগানো হয়। প্রথম পর্যায়ে একটি বেস প্রাইমার হিসাবে কাজ করে। এই প্রাইমারটি দেওয়ালকে মসৃণ করে। এটিকে হাইড্রোফোবিক করে তোলে যার পরে টপকোট প্রয়োগ করা হয়। তবে লন্ডনই প্রথম শহর নয়। প্রায় সাত বছর আগে জার্মানির কোলন প্রথম এই পেইন্টটি ব্যবহার করেছিল।
কলকাতা শহরেও বিভিন্ন ভবন ও দেওয়ালে প্রস্রাব নিয়ে জেরবার স্থানীয়রা। বিভিন্ন সতর্কবাণী, অনুনয়-বিনয় করেও কাজ হয়না। এই রঙ কি কলকাতা শহরের দেওয়াল গুলিতেও ব্যবহার করতে পারে পুরসভা ?
আরও পড়ুন- 'ধ্বংস' থেকে বাঁচতে শেষ চেষ্টা পাকিস্তানের, এবার সরকারি কর্মীদের বেতনে কোপ