Advertisement

US Deportation: বিভিন্ন দেশের ৫.৩ লক্ষ মানুষকে ফেরত পাঠাবেন ট্রাম্প, আমেরিকায় আর মাত্র এক মাস

আমেরিকায় বসবাসকারী ৫.৩ লাখ কিউবান, হাইতিয়ান, নিকারাগুয়ান এবং ভেনেজুয়েলান অভিবাসীদের আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হবে। শুক্রবার এমনই ঘোষণা করল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে, আগামী এক মাসের মধ্যেই তাঁদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

আমেরিকা থেকে এই দেশের বাসিন্দাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত ট্রাম্পেরআমেরিকা থেকে এই দেশের বাসিন্দাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 22 Mar 2025,
  • अपडेटेड 7:45 AM IST

আমেরিকায় বসবাসকারী ৫.৩ লাখ কিউবান, হাইতিয়ান, নিকারাগুয়ান এবং ভেনেজুয়েলান অভিবাসীদের আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হবে। শুক্রবার এমনই ঘোষণা করল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে, আগামী এক মাসের মধ্যেই তাঁদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

কাদের উপর প্রভাব পড়বে?
২০২২ সালের অক্টোবর থেকে যাঁরা অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন এবং দুই বছরের বসবাস ও কর্মসংস্থানের অনুমতি পেয়েছিলেন, তাঁদের আইনি মর্যাদা ২৪ এপ্রিল হারাবে। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, ফেডারেল রেজিস্টারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে তাঁদের আইনি সুরক্ষা বাতিল হবে।

বাইডেনের নীতি বাতিল
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে চালু হওয়া এই "প্যারোল" ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব অভিবাসীরা মার্কিন নাগরিক পৃষ্ঠপোষকের মাধ্যমে আকাশপথে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় এসেই এই নীতির সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। প্রশাসনের দাবি, "বিস্তৃত অপব্যবহারের" কারণে প্যারোল প্রোগ্রাম বাতিল করা হচ্ছে।

দেশ ছাড়ার নির্দেশ
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ স্পষ্ট জানিয়েছে, প্যারোলে থাকা ব্যক্তিরা যদি বৈধভাবে থাকার ভিত্তি না পান, তাহলে তাঁদের অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে।

অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে অর্ধ মিলিয়ন অভিবাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে কতজন ইতিমধ্যেই বিকল্প আইনি মর্যাদা বা সুরক্ষা পেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।

বাইডেনের উদ্যোগ ও ট্রাম্পের পদক্ষেপ
২০২২ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভেনেজুয়েলানদের জন্য এই প্যারোল এন্ট্রি প্রোগ্রাম চালু করেছিলেন। পরে ২০২৩ সালে কিউবা, হাইতি এবং নিকারাগুয়ার নাগরিকদের জন্যও এটি প্রযোজ্য করা হয়। তবে ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প এই কর্মসূচিকে "অবৈধ অভিবাসনের উৎস" দাবি করে বাতিলের নির্দেশ দেন।

কূটনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত
যুক্তরাষ্ট্র ও এই চার দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনো উত্তেজনাপূর্ণ। ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির ফলে মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী বহু অভিবাসী ফের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement