Advertisement

Donald Trump: এবার সিনেমায় কোপ ট্রাম্পের, ভারতীয় Movies এও বসালেন ১০০ শতাংশ Tariff

ট্যারিফ নিয়ে যেন কিছুতেই শান্তি পাচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার সিনেমাতেও মোটা অঙ্কের শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প। সোমবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ জানালেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর কোনও বিদেশি ছবি সহজে ঢুকতে দেবে না তাঁর প্রশাসন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর কোনও বিদেশি ছবি সহজে ঢুকতে দেবে না ট্রাম্প প্রশাসন।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর কোনও বিদেশি ছবি সহজে ঢুকতে দেবে না ট্রাম্প প্রশাসন।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 29 Sep 2025,
  • अपडेटेड 8:02 PM IST
  • ট্যারিফ নিয়ে যেন কিছুতেই শান্তি পাচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
  • এবার সিনেমাতেও মোটা অঙ্কের শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প।
  • আমেরিকার বাইরের দেশে তৈরি সব ছবির উপর ১০০% শুল্ক বসানো হচ্ছে। 

ট্যারিফ নিয়ে যেন কিছুতেই শান্তি পাচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার সিনেমাতেও মোটা অঙ্কের শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প। সোমবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ জানালেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর কোনও বিদেশি ছবি সহজে ঢুকতে দেবে না তাঁর প্রশাসন। আমেরিকার বাইরের যে দেশে তৈরি সব ছবির উপর ১০০% শুল্ক বসানো হচ্ছে। এমনকি হলিউডের প্রোডিউসারও যদি অন্য় দেশে গিয়ে সিনেমার শ্যুটিং করে আনেন, সেক্ষেত্রেও মোটা টাকা শুল্ক দিতে হবে।

ট্রাম্পের অভিযোগ, আমেরিকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বিদেশি প্রতিযোগীরা কার্যত ‘চুরি করে’ নিয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “আমাদের সিনেমা বানানোর ব্যবসা অন্য দেশ চুরি করেছে। যেন বাচ্চার কাছ থেকে মিষ্টি কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনা।”

জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি দিলেন ট্রাম্প
এটাই প্রথম নয়। এর আগে গত মে মাসেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিদেশি ছবির উপর বাড়তি শুল্ক আরোপের। তখন তিনি বাণিজ্য মন্ত্রক এবং ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভকে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার সেই পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলেন।

ট্রাম্পের দাবি, বিষয়টি শুধুমাত্র অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়, এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নও। তাঁর কথায়, “বিদেশি শক্তির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বার্তা ছড়ানো ও প্রচারণার কাজ।”

‘আমেরিকায় ছবি বানাও’ 
হলিউডকে আবার দেশেই ফিরিয়ে আনতে চাইছেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, “আমরা চাই সিনেমা আবার আমেরিকাতেই তৈরি হোক।” শুল্ক আরোপের মূল লক্ষ্য হল বিদেশে সস্তা শ্রম বা করছাড়ের লোভে মার্কিন স্টুডিয়োগুলিকে বাইরে যাওয়ার প্রবণতা থামানো।

হলিউডেই বিপদ?
তবে শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে উপকারের থেকে ক্ষতিই বেশি হতে পারে। কারণ হলিউডের বড় প্রযোজনা সংস্থা, যেমন ডিজনি, প্যারামাউন্ট, ওয়ার্নার ব্রাদার্স, নিয়মিত খরচ বাঁচাতে বিদেশে শুটিং করে। অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে যখন এই সংস্থাগুলি নতুন করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখন এই নীতিই তাদের চাপে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

Advertisement

চিনের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য সংঘাত?
প্রসঙ্গত, এই ঘোষণা এল এমন সময়ে, যখন আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্যিক টানাপড়েন নতুন উচ্চতায়। আর চিনই এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিনেমার বাজার। ফলে এই সিদ্ধান্ত মার্কিন চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য আরও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বাজারে ধস
ট্রাম্পের ঘোষণার পরেই টালমাটাল শেয়ারবাজার। রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার প্রি-মার্কেট ট্রেডিংয়ে নেটফ্লিক্সের শেয়ার পড়েছে ১.৪ শতাংশ। ০.৬ শতাংশ কমেছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি। সব মিলিয়ে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে আপাতত অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্প।

Read more!
Advertisement
Advertisement