Advertisement

Donald Trump: 'রাশিয়াকে চাপ দিতে, ভারতের উপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প': জেডি ভ্যান্স

Donald Trump: মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স রবিবার বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেনে বোমাবর্ষণ বন্ধ করার জন্য কঠোর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের কৌশল নিয়েছেন, যার মধ্যে ভারতের উপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করা অন্যতম।

রাশিয়াকে ঘুরিয়ে চাপ দিতে, ভারতের উপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প!রাশিয়াকে ঘুরিয়ে চাপ দিতে, ভারতের উপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প!
Aajtak Bangla
  • 25 Aug 2025,
  • अपडेटेड 1:23 AM IST

JD Vans Donald Trump: জেডি ভ্যান্স বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার উপর আক্রমণাত্মক অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছেন, যার মধ্যে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপও অন্তর্ভুক্ত, যাতে রাশিয়ার তেল থেকে আয়ের পরিমাণ কমে যায় এবং তারা ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে না পারে।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স রবিবার বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেনে বোমাবর্ষণ বন্ধ করার জন্য কঠোর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের কৌশল নিয়েছেন, যার মধ্যে ভারতের উপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করা অন্যতম।

এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স বলেছেন যে, এই পদক্ষেপগুলোর উদ্দেশ্য রাশিয়ার তেল অর্থনীতি থেকে আসা আয়ের উৎস কমানো, যাতে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে না পারে। ভ্যান্স আস্থা প্রকাশ করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক বৈঠকের পর সৃষ্ট সম্ভাব্য জটিলতা সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারবে।

আরও পড়ুন

যদি যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে, তাহলে রাশিয়ার উপর কিভাবে চাপ তৈরি হবে? কীভাবে তাদের জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার টেবিলে আনা হবে এবং হামলা বন্ধ করতে রাজি করানো হবে?—এই প্রশ্নে ভ্যান্স বলেন যে, ট্রাম্প রাশিয়ার উপর কড়া অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, ভারতকে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে রাশিয়ার তেল থেকে আয়ের পথ কঠিন করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্প এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যে, যদি রাশিয়া হামলা বন্ধ করে তবে তাকে আবার বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, কিন্তু হামলা অব্যাহত থাকলে তাকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে।

শুধু তাই নয়, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য বারবার সমালোচনা করেছে, অথচ চিন, যা রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা, তার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন কোনও প্রকাশ্য আপত্তি জানায়নি। তবে ভারত সবসময় স্পষ্ট করেছে যে তার জ্বালানি চাহিদা এবং কেনাকাটা জাতীয় স্বার্থ এবং বাজার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।

Advertisement

ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করায় ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। আমেরিকার অভিযোগ যে, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করছে, যদিও ভারত এই অভিযোগ কঠোরভাবে খারিজ করেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এরপর ভারত ছাড়কৃত মূল্যে পাওয়া রাশিয়ার তেল কেনা শুরু করে।

শনিবার নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, এটি অদ্ভুত যে, যারা নিজেদের বাণিজ্য-সমর্থক বলে দাবি করে তারা অন্যদের উপর বাণিজ্যের অভিযোগ আনছে। জয়শঙ্কর বলেছেন, এটি সত্যিই অদ্ভুত। পাশাপাশি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যদি ভারতের কাছ থেকে তেল বা রিফাইন্ড পণ্য কেনায় আপনার আপত্তি থাকে, তবে কিনবেন না। কেউ জোর করছে না, কিন্তু বাস্তবতা হলো ইউরোপও কিনছে, আমেরিকাও কিনছে। তাই যদি পছন্দ না হয়, তাহলে কিনবেন না।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement