
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নাকি থামাতে চাইছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই তিনি মস্কোর সঙ্গে এখনও ব্যবসা করছে এমন দেশগুলির উপর ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানোর পক্ষে সওয়াল করলেন। এই মর্মে আমেরিকার নতুন সেনেট আইনকে সমর্থন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর এই খবর সামনে আসার পরই চরম উদ্বেগে বিশ্ব।
বিশেষত, ভারতের ভয় বাড়ছে। কারণ, ইতিমধ্যেই রাশিয়ার থেকে তেল কেনার অপরাধে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ (মোট শুল্ক ৫০ শতাংশ) অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে আমেরিকা। আর নতুন করে যদি ৫০০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়, তাহলে যে পরিস্থিতি খারাপ দিকে যেতে পারে, সেই কথা তো বলাই বাহুল্য!
ফ্লোরিডার উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'রিপাবলিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলির উপর কঠোর আইন প্রণয়ন করতে চলেছে।' আর নতুন এই আইন আনার বিষয়টি আরও গতি পায় আমেরিকার কংগ্রেসে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পর।
এমন পরিস্থিতিতে সেনেটের নেতা জন থুনে জানান, অক্টোবরেই এই বিষয়ে একটা ভোট করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে এখন তিনি এই বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট দিন বলতে চান না।
রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করলেই বিপদ
আমেরিকার বক্তব্য হল, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারছে কিছু দেশের জন্য। আসলে সেই দেশগুলি রাশিয়া থেকে তেল এবং অন্যান্য জ্বালানি কিনছে। যার ফলে হাতে টাকা থাকছে রাশিয়ার। তারা যুদ্ধ করছে। আর এখানেই গোঁসা আমেরিকার। তাই তারা রাশিয়ার থেকে যেই সব দেশ জ্বালানি কিনছে, তাদের উপর ইতিমধ্যেই শুল্ক বসিয়েছে। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না।
তাই তারা বর্তমানে আরও বড় ধাক্কা দিতে দিতে চাইছে। যার ফলে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস কেনা দেশগুলির উপর ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানোর বিল পাশ করতে পারে বলে খবর। যার ফলে বিগড়ে যেতে পারে বিশ্বের অর্থনীতি। নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এক্ষেত্রে চিন, ভারত যে, এই শুল্কের আওতায় থাকবে, তার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলেছে। তবে ট্রাম্প বলেছেন, 'ইরানকেও এই শুল্কের আওতায় আনা হতে পারে।' আর এই ঘোষণাতেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এখন দেখার ট্রাম্প এই শুল্ক সত্যিই চাপান, নাকি ফাঁকা আওয়াজ দিয়েই চুপ করে থাকেন। পাশাপাশি ভারতই বা এই পরিস্থিতিতে কী করে, সেটাও দেখতে চাইছেন বিশেষজ্ঞরা।