মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানকে। জানান, যদি তারা পরমাণু কর্মসূচি পুনর্গঠনের চেষ্টা করে, তবে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। ট্রাম্প জানিয়ে দেন, 'ইরান সমৃদ্ধ করবে না – তারা শেষ জিনিসটা যা করতে চায়, তা হল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ।'
এই মন্তব্য ট্রাম্প করেন সাংবাদিকদের সঙ্গে এয়ার ফোর্স ওয়নে আলোচনার সময়। তিনি দাবি করেন, 'আমরা মনে করি না ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে। তাড়াহুড়ো করে তাদের পরমাণু সরঞ্জাম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় তাদের ছিল না। এটি ছিল একটি দুর্দান্ত আঘাত।'
ট্রাম্পের দাবি, মার্কিন হামলার ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক দশক পিছিয়ে গেছে। তাঁর মতে, এই হামলা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছে। একই সুরে কথা বলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়া। তিনি জানান, 'আমাদের এই হামলা জাতিসংঘের সনদের অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকারেই হয়েছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ইরান যে হুমকি হয়ে উঠছিল, তা হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে।'
হোয়াইট হাউস থেকেও জানানো হয়েছে, যেসব খবর ইরান আগেই পারমাণবিক স্থাপনাগুলি থেকে ইউরেনিয়াম সরিয়ে ফেলেছিল—তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। তাদের দাবি, এই ধরনের তথ্য ট্রাম্পকে ছোট করতেই ছড়ানো হচ্ছে।
তবে রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন গোয়েন্দাদের প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, এই হামলা ইরানের কর্মসূচিকে শুধুমাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে, তার চেয়ে বেশি নয়।
এদিকে জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেছেন, 'এই অপরাধমূলক আগ্রাসনের মধ্যেও ইরান গর্বিত ও অটল। এটা আরও একবার প্রমাণ করে, কেবল কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই শান্তিপূর্ণ ইরানি কর্মসূচি নিয়ে তৈরি হওয়া অপ্রয়োজনীয় সংকটের সমাধান সম্ভব।'