সোমবার তুরস্ক এবং সিরিয়ায় শক্তিশালী ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ১০০টিরও বেশি আফটারশক হয়েছে। এর মধ্যে তিনটির তীব্রতা ছিল ৬ থেকে ৭.৫। তুরস্ক ও সিরিয়ার এই শক্তিশালী ভূমিকম্প শহরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ভূমিকম্প কবলিত এলাকা থেকে আসা ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাড়ি, মৃতদেহের স্তূপ এবং মানুষের হাহাকার দেখা যাচ্ছে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ৪৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তুরস্কে ৫৬০০টিরও বেশি বাড়ি ভেঙেছে। সিরিয়াতেও এই ঘটনা। তুরস্ক ও সিরিয়ার উদ্ধারকারী দলগুলো ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়া মানুষকে বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছে। ঠান্ডা, বৃষ্টি ও তুষারপাত এসব উদ্ধারকাজ কঠিন করছে। এরইমধ্যে তুরস্কের অনেক এলাকায় তুষার ঝড়ের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। ফলে সবমিলিয়ে খুবই বিপর্যস্ত ওই দুই দেশ।
আরও পড়ুন-ভূমিকম্পের তুরস্কে নিখোঁজ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার, বিশ্বজুড়ে প্রার্থনা
সোমবার ভোর ৪টে ১৭ মিনিটে তুরস্কে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল গাজিয়ানটেপের কাছে। এটি সিরিয়া সীমান্ত থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি তুরস্কে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে জানা গেছে।
ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পনের তীব্রতাও কম ছিল না। প্রথমবার ভূমিকম্পের পরেই ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠতে থাকে মাটি। দক্ষিণ ও মধ্য তুরস্কে ৬.৭ রিখটার মাত্রা আফটার শক অনুভূত হয়। প্রথমবার কম্পনের পরে আফটার শকের মাত্রা ছিল ৬.৭ যা মূল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরত্বে অনুভূত হয়, দ্বিতীয় আফটার শক বোঝা যায় ১৯ মিনিট পরে। এর তীব্রতা ছিল ৫.৬। তুরস্ক ও সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারী দল।
আরও পড়ুন-ভূমিকম্পে মৃত্যুপুরী সিরিয়া, সুযোগ বুঝে জেল থেকে পালাল খতরনাক ISIS জঙ্গিরা