পাকিস্তানী ভিক্ষুক সমস্যা ফের সমালোচনার মুখে। তবে এটি নতুন কিছু নয়। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী কাতারের মতো দেশগুলি পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের জন্য উদ্বিগ্ন। পাকিস্তানের কাছে অভিযোগও করেছে তারা। সম্প্রতি সৌদি আরবের ১০ জন পাকিস্তানি ভিক্ষুক ধরা পড়েছে। এদের ওমরাহ ভিসায় সৌদির পবিত্র নগরী মক্কায় গিয়ে সেখানে ভিক্ষা করতে দেখা যায়।
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি (এফআইএ) রবিবার একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, ওমরাহ ভিসায় ভিক্ষা করা ১০ জন পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই এই সব ভিক্ষুককে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে যাওয়া এবং ভিক্ষা করার কারণে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। এদের কারণে, পাকিস্তানিরা ওমরাহ ও হজের জন্য সৌদি যাচ্ছেন। সৌদিতে ভিক্ষাবৃত্তির কারণে পাকিস্তানিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, যার ফল ভুগতে হচ্ছে সেখানে যাওয়া পাকিস্তানিদের।
গত কয়েক বছরে সৌদি আরব বারবার পাকিস্তানের কাছে ভিক্ষুক-ইস্যু তুলেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি বলেছিলে, ভিক্ষার জন্য হজ এবং ওমরাহ ভিসা ব্যবহার করা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বহু মাস ধরে সৌদিতে ভিক্ষা করছিল পাকিস্তানিরা
পাকিস্তানি পুলিশের হাতে আটক ১০ ভিক্ষুক গত কয়েক মাস ধরে সৌদি আরবে ভিক্ষা করছিলেন। ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের করাচি অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং সার্কেলে পাঠানো হয়েছে।
এফআইএ জানিয়েছে, তারা বিমানবন্দরে অভিবাসনের ওপর নজর রাখছে। বিদেশ যাওয়ায় ইচ্ছুক যাত্রীদের তল্লাশি করা হচ্ছে এবং যারা ভিক্ষার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন সন্দেহে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সৌদি আরবে ২৫ লক্ষ পাকিস্তানি বসবাস করে এবং মোট প্রবাসীদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানিরা। এই প্রবাসী পাকিস্তানিরা সেখানে অর্থ উপার্জন করে এবং তা দেশে ফেরত পাঠায়, যা পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অবদান রাখে।