রবিবার ইউক্রেন রাশিয়ার উপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যার ফলে রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লির ক্ষমতা তীব্রভাবে হ্রাস পায়। উস্ত-লুগা জ্বালানি রফতানি টার্মিনালে বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। রাষ্ট্রসংঘের পরমাণু সংস্থা, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে যে সামরিক কার্যকলাপের কারণে প্ল্যান্টের একটি ট্রান্সফরমারে আগুন লেগেছে বলে তারা জেনেছে। তারা এটাও বলেছে যে প্রতিটি পরমাণু কেন্দ্র সর্বদা সুরক্ষিত রাখা উচিত। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তির কথা বলা সত্ত্বেও, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক ইউরোপীয় যুদ্ধ ২,০০০ কিলোমিটার (১,২৫০ মাইল) ফ্রন্ট লাইনে অব্যাহত রয়েছে।
ফিনল্যান্ড উপসাগরের এক হাজার কিলোমিটার উত্তরে রাশিয়ার উত্তর লেনিনগ্রাদ অঞ্চলের উস্ত-লুগা বন্দরের উপর কমপক্ষে ১০টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ গিয়ে পড়ে নোভাটেক-পরিচালিত টার্মিনালে। যার কারণে আগুন লেগে যায় বিশাল বাল্টিক সাগর জ্বালানি রফতানি টার্মিনাল এবং প্রক্রিয়াকরণ কমপ্লেক্সে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে ১৯৯১ সালের ২৪ অগাস্ট ইউক্রেন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। উদযাপনের মধ্যেই তারা ড্রোন হামলা চালিয়েছে। কমপক্ষে ৯৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন আটকানো হয়েছে।
ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার (৩৮ মাইল) দূরে অবস্থিত কুর্স্ক পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র জানিয়েছে যে মধ্যরাতের ঠিক পরে প্ল্যান্টের কাছে একটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। যার ফলে একটি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩ নম্বর চুল্লির অপারেটিং ক্ষমতা ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বিকিরণের মাত্রা স্বাভাবিক ছিল এবং ড্রোন থেকে আগুন লাগার ফলে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আরও দুটি চুল্লি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। একটি মেরামত করা চলছে।
রাশিয়ার সামারা অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, দক্ষিণ রাশিয়ার সিজরান শহরে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানেও ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গভর্নরের মতে, হামলায় একটি শিশু আহত হয়েছে। তবে ঠিক কী আক্রমণ করা হয়েছে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। এই মাসের শুরুতে, ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী বলেছিল যে তারা সিজরান তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে। সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হামলার পর রোসনেফ্টের মালিকানাধীন শোধনাগারটি উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।