পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের পরই সুর নরম করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, 'আমি গঠনমূলক সহযোগিতায় রাজি।'
জানা গিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে বৈঠক সেরেই জেলেনস্কিকে ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন, পুতিন যুদ্ধবিরতিতে একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতা চাইছেন। এরপরই একটি ছোট বিবৃতি দিয়ে ভলোদেমির জেলেনস্কি বলেন, 'সোমবার আমি ওয়াশিংটন যাচ্ছি। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।'
উল্লেখ্য, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই আমেরিকায় ওভাল অফিসে রীতিমতো ট্রাম্পের বকুনি খেতে হয়েছিল জেলেনস্কিকে। তারপর থেকে এই নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক করবেন জেলেনস্কি।
এদিকে, আলাস্কাকে ট্রাম্প এবং পুতিনের বৈঠক নিষ্ফলাই হয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। ওয়াশিংটনে ফেরার পথেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের কাউন্টারপার্টকে ফোন করেন। প্রায় ঘণ্টাখানের ফোনালাপ চলে তাঁদের। কথা বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গেও।
এ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, 'আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার দীর্ঘ এবং বাস্তবসম্মত আলোচনা হয়েছে ফোনে। নিরাপত্তা ইস্যুতেও আমেরিকার তরফে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে।'
পুতিন জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বৈঠকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব পেয়েছে ইউক্রেন ইস্যু। তিনি বলেন, 'সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। ট্রাম্পের এই সদিচ্ছা প্রশংসনীয়। উনি সংঘর্ষের আসল কারণ জানতে আগ্রহী।' পুতিনের আশা, ইউক্রেনে শান্তির পথ প্রশস্ত হবে। সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হবে। রাশিয়া সত্যিই যুদ্ধ খতম করতে চায় বলেই মন্তব্য করেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।
প্রেস কনফারেন্সে ট্রাম্প বলেন, 'খুব শীঘ্রই ন্যাটো এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলব। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে অনেক বিষয়েই আমরা সহমত হয়েছি। তবে কোনও চুক্তি হয়েছে বলা চলে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই চুক্তি সম্পন্ন হচ্ছে। পুতিন আর মৃত্যুমিছিল দেখতে চাইছেন না। আর কয়েক মুহূর্তের অপেক্ষা। তারপরই সমস্যার সমাধান হবে।'