
রাশিয়ার উপর বড়সড় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের। তার জেরে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার টুয়াপসে বন্দরে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই হামলার পরপরই বন্দরের অনেকটা জায়গাজুড়ে আগুন লেগে যায়। সেখানে থাকা তেল টার্মিনাস দাওদাও করে জ্বলতে থাকে। এদিকে পুতিন প্রশাসনের পাল্টা দাবি, ১৬৪টি ড্রোন তাদের তরফে ধ্বংস করা হয়েছে। যদিও তা নিয়ে এখনও ইউক্রেন কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
রাশিয়ার একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রবিবার রাতে ইউক্রেন প্রথমে ড্রোন হামলা চালায়। তার উত্তরে পাল্টা আক্রমণ করে রাশিয়া। তাতে ১৬৪টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ারও। কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত টুয়াপসেতে বন্দরে আগুন লাগে। অনেক তেল নষ্ট হয়েছে। তবে কারও প্রাণহানি হয়েছে কি না তা রাশিয়ার তরফে জানানো হয়নি।
রাশিয়ার আর এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোন কোন বন্দরের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। প্রতিশোধ হিসেবে ইউক্রেন এই হামলা চালিয়েছে। জবাবে সেই দেশেরও সামরিক ক্ষেত্রের ক্ষতি হয়েছে। তবে দুই পক্ষের কেউ হতহত হয়েছে কি না জানা যায়নি।
গত অক্টোবরে ইউক্রেনের জ্বালানি পরিকাঠামোয় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া৷ প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬ জন। প্রসঙ্গত, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধবিরতি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হলেও তা সফল হয়নি। বিশ্বের একাধিক দেশ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চাইলেও যুদ্ধ থামেনি।
এদিকে সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাশিয়ার জ্বালানি ভাণ্ডারকে ইচ্ছাকৃত নিশানা বানিয়েছে জেলেনস্কি। পুতিনকে দুর্বল করতে যুদ্ধ শুরুর প্রথম থেকেই তেল শোধনাগার, তেল ডিপো এবং পাইপলাইনগুলিতে লাগাতার হামলা চালিয়ে আসছে ইউক্রেন। লক্ষ্য যাতে জ্বালানি সরবরাহে খরচ বাড়ে।