রাশিয়া থেকে তেল কেনাকে 'মোদীর যুদ্ধ' বলে সাংঘাতিক অভিযোগ ট্রাম্পের উপদেষ্টা পিটার নাভারোর। তাঁর দাবি, রাশিয়ার থেকে ছাড়ে তেল কিনে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে মদত দিয়েছে ভারত। মার্কিন কূটনীতিক নাভারো ভারত কীকরে শুল্ক থেকে মুক্তি পেতে পারে সে শর্তও চাপালেন।
তাঁর বক্তব্য, ভারতের ছাড়ে রাশিয়ার তেল কেনা রাশিয়ান আগ্রাসনকে উৎসাহিত করেছে। যা আমেরিকার করদাতাদের উপর বোঝা চাপিয়েছে।
শুধু তাই নয়, নাভারো রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতকে 'মোদীর যুদ্ধ' বলে অভিহিত করেছেন। সতর্ক করে দিয়েছেন, ভারত যদি এই নীতি অব্যাহত রাখে, তাহলে আমেরিকা এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে। আরও বলেন, ভারত যদি রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করে তাহলে আমেরিকান শুল্কে ২৫% ছাড় পাওয়া যেতে পারে।
ব্লুমবার্গ টিভির শো ব্যালেন্স অফ পাওয়ারে এক সাক্ষাৎকারে নাভারো ভারতের উপর ৫০% শুল্ক চাপানোর পর এই বিবৃতি দিয়েছেন।
ভারত ২৫% শুল্কে ছাড় পেতে পারে: নাভারো
আমেরিকা ভারতের সঙ্গে আলোচনা করছে। শুল্ক সমন্বয় করা যেতে পারে কিনা জানতে চাইলে নাভারো বলেন, "ভারত যদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তাহলে আগামিকাল থেকেই তারা ২৫% ছাড় পেতে পারে।" বলেন, "আমি অবাক। মোদী একজন মহান নেতা। ভারত একটি পরিণত গণতন্ত্র। পরিণত মানুষরা ভারতকে পরিচালিত করছে।"
ভারতের শুল্ক নীতির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে নাভারো বলেন, "আমাকে যা বিচলিত করে তা হল ভারতীয়রা এত অহংকারী। তারা বলে যে আমাদের উচ্চ শুল্ক নেই। এটা আমাদের সার্বভৌমত্ব। আমরা যে কারও কাছ থেকে তেল কিনতে পারি।"
রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার অভিযোগ
নাভারো আরও বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল কিনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অর্থায়ন করছে। রাশিয়া সেই অর্থ ব্যবহার করে তার যুদ্ধের ফান্ড সংগ্রহ করে এবং আরও বেশি ইউক্রেনের মানুষ নিহত হয়। এর ফলে আমেরিকার সব মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন। এর প্রভাব মার্কিন অর্থনীতিতেও পড়ছে।
তিনি বলেন, ভারতের উচ্চ শুল্কের কারণে চাকরি, কারখানা, আয় এবং উচ্চ বেতন হারাতে হচ্ছে, যার ফলে ভোক্তা, ব্যবসা এবং শ্রমিক সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর করদাতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কারণ আমাদের মোদীর যুদ্ধে অর্থায়ন করতে হচ্ছে।
নাভারো বলেন, "আমি মোদীর যুদ্ধ বলছি কারণ শান্তির রাস্তা আংশিকভাবে ভারতের মধ্য দিয়ে গেছে।"
গত সপ্তাহেও একই রকম বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল
এটা লক্ষণীয় যে, গত সপ্তাহেও নাভারো ভারতকে রিফাইনারি খাতে মুনাফা নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "ভারত পণ্য বিক্রি করে যে অর্থ পায়, সেই অর্থই রাশিয়ার তেল কিনতে ব্যবহার করে। তারপর তারা লাভ করে। কিন্তু রাশিয়া সেই অর্থ ব্যবহার করে আরও অস্ত্র তৈরি করে এবং আরও ইউক্রেনীয়দের হত্যা করে, এবং আমেরিকান করদাতাদের আরও সাহায্য এবং সামরিক সহায়তার জন্য অর্থ প্রদান করতে হয়। এটা পাগলামি।"