Birthright Citizenship in US: ক্ষমতায় ফিরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সব সিদ্ধান্তগুলি ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম বিতর্কিত হল বার্থরাইট সিডিজেনশিপ বা জন্মগত নাগরিকত্ব আইন বিলোপ করা। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খেল তাঁর সিদ্ধান্ত। আমেরিকার আদালতের বিচারক রায় দিলেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। স্থগিতাদেশও দিয়েছে আদালত।
আমেরিকার নাগরিকত্ব বিতর্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক স্টেটে আদালতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বার্থরাইট সিটিজেনশিপ হল, বিদেশের দম্পতি যদি আমেরিকায় শিশুর জন্ম দেন, তাহলে ওই শিশু জন্মগত ভাবেই আমেরিকার নাগরিক হয়ে যায়। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ছিল, এই আইন বদলে, মা বা বাবার মধ্যে কোনও একজন মার্কিন নাগরিক হলে তবেই শিশু আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে।
ট্রাম্পের আদেশে স্থগিতাদেশ কোর্টের
এরপরেই একাধিক স্টেটে ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সিয়াটলের ফেডারেল আদালতের বিচারক জন কফেনওয়ার চারটি ডেমোক্র্যাট-নেতৃত্বাধীন রাজ্যের অনুরোধে একটি অস্থায়ী স্থগিতাদেশ জারি করেন এই নতুন আদেশের উপর। তিনি বিচারবিভাগীয় আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'এই আদেশটি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।' শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দেন, ট্রাম্পের নির্দেশে সংবিধানের আদর্শ লঙ্ঘিত হয়েছে।
আমেরিকায় ৭ লক্ষের বেশি ভারতীয়ের বসবাস
ট্রাম্পের ওই নির্দেশের পরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়। ট্রাম্প ডেডলাইন দিয়েছিলেন ১৯ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় মহিলারা এই ডেডলাইনের আগেই সন্তান প্রসবের জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দিয়েছেন আমেরিকায়। ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর হলে, ১৯ ফেব্রুয়ারির পর জন্ম নেওয়া শিশুদের মা-বাবা যদি নাগরিক না হন বা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা না হন, তবে সেই শিশুরা আমেরিকার সামাজিক সুরক্ষার নম্বর, সরকারি সুবিধা এবং আইনগতভাবে কাজ করার অধিকার পাবেন না। ডেমোক্র্যাটিক রাজ্যগুলির মতে, এই আদেশ কার্যকর হলে প্রতি বছর দেড় লক্ষেরও বেশি সদ্যোদাত নাগরিকত্ব হারাবে। এই মুহূর্তে আমেরিকার মাটিতে ১ কোটি ৪০ লক্ষ অভিবাসী। তাঁদের মধ্যে ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ভারতীয়।