আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটদান প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বছরের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে, যেখানে প্রথম ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে নিউ হ্যাম্পশায়ারের একটি ছোট শহরে। শহরটির নাম ডিক্সভিল নচ, যেখানে ভোটার সংখ্যা মাত্র ছয়জন।
ভোট গণনার পর দেখা যায়, এই ছয়টি ভোটের মধ্যে তিনটি পেয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বাকি তিনটি ভোট পেয়েছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। অর্থাৎ, প্রাথমিক এই ফলাফল ‘টাই’ হয়েছে।
ছোট এই শহরটিতে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পরপরই গণনা শুরু হয়, এবং দ্রুতই ফলাফল জানা যায়। আমেরিকার বিভিন্ন শহর ও রাজ্যে যেখানে ভোটদান চলছে, সেখানে এই ছোট্ট শহরটির ফলাফল মার্কিন নির্বাচনী উত্তেজনায় বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের সমান ভোট পাওয়ায় উভয়ের সমর্থকেরা তাদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। এদিকে, গোটা আমেরিকা ও বিশ্বজুড়ে নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সবাই। নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
এবারও রেজাল্ট আসতে দেরি হতে পারে? ট্রাম্প-কমলার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
আজ ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটদাতারা দেশটির পরবর্তী নেতৃত্বের জন্য তাদের সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, যেখানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, হোয়াইট হাউসের চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ কার হাতে আসবে তা নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, ফলাফল বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা এখনও বিদ্যমান। ২০২০ সালের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা হতে চার দিন সময় লেগেছিল।
২০২০ সালের নির্বাচনেও বিলম্বিত হয়েছিল ফলাফল
শেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, যখন মার্কিন জনগণ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোট দিয়েছিল, তখনও ফলাফল ঘোষণা দেরি হয়েছিল। মূলত ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলিতে ঘনিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং করোনা পরিস্থিতি গণনা প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। তাছাড়া, অনেক রাজ্যে ডাকযোগে পাঠানো ভোটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গণনা সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এরপর বেশ কিছু রাজ্য তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনে। গণনা দ্রুত করতে নতুন কিছু আইন কার্যকর হয়েছে, তবে এরপরও নির্বাচনী রাতে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভোট গ্রহণের সময়সূচি
প্রতিটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু ও শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্যে সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হবে। তবে নিউ হ্যাম্পশায়ার, টেনেসি এবং ওয়াশিংটনের মতো কয়েকটি রাজ্যে ভোটের সময় স্থানীয়ভাবে নির্ধারিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সময়ও আলাদা, যেখানে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়ে হাওয়াই এবং আলাস্কা পর্যন্ত ১২টা (জিএমটি ৫টা) পর্যন্ত ভোট চলবে।
ভোট গণনার ক্ষেত্রে দেরি হতে পারে যেসব কারণে
ভোট শেষ হওয়ার পরও কিছু কারণে ফলাফল ঘোষণা বিলম্বিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যারিজোনার আইন অনুযায়ী ভোটাররা তাদের ব্যালট নির্বাচন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত জমা দিতে পারেন, ফলে শেষ মুহূর্তে জমা পড়া ব্যালটগুলো ভোট শেষ হওয়ার পর গণনা করা হয়।
পেনসিলভেনিয়ার ২ ভোটকেন্দ্রে শুরু হল ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। সিএনএনের মতে, হোয়াইটহল, প্রিজাইডিং অফিসার একটি কেন্দ্রে দেরিতে পৌঁছানোর কারণে নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। একই সময়ে, পিটসবার্গের লিঙ্কন প্লেসেও একই ঘটনা ঘটে। তবে এখন ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আমেরিকায় উত্তর ক্যারোলিনার ভোট কেন্দ্রে মানুষের ভিড়। সেই ছবি সামনে এসেছে। ভোট শুরু হওয়ার আগে ৩০ থেকে ৪০ জনের ভিড় থাকলেও পরে তা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।
২০২৪-এর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে তুঙ্গে উত্তেজনা। লক্ষ-লক্ষ মানুষ কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে পছন্দের প্রার্থী বেছে নেবেন। বাদ পড়বেন না মার্কিন মহাকাশচারীরাও। NASA-র উদ্যোগে, মহাকাশে, স্পেস স্টেশনে থেকেই ভোটদান করতে পারবেন তাঁরা।
রিপোর্চ অনুযায়ী, যে চারজন আমেরিকান মহাকাশচারী এই মুহূর্তে স্পেস স্টেশনে আছেন, তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সমস্তরকম ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, এর মধ্যে সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরও আছেন। বোয়িংয়ের মহাকাশযানে ফিরতে না পারায় আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁরা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রেই থাকছেন। আর সেখান থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন তাঁরাও।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে শেষ সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প দাবি করেছেন যে তিনি এ বছর '৯০০টিরও বেশি সমাবেশ' করেছেন। প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বলার পর তিনি মিশিগানের গ্র্যান্ড র্যাপিডসে চূড়ান্ত সমাবেশ শেষ করেন। মিশিগান আমেরিকার সাতটি সুইং স্টেটের একটি, যেখানে ভোট উভয় দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হতে পারে।
আমেরিকায় ভোট শুরু হতে না হতেই শেষ মুহূর্তে ভোটারদের কাছে আবেদন জানাতে শুরু করলেন কমলা হ্যারিস। হ্যারিস বলেন, 'নির্বাচনের দিন চলে এসেছে। আমরা ভোট দিই কারণ দেশকে ভালোবাসি। আমরা আমেরিকার প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি।'
মঙ্গলবার বিকেল থেকেই (ভারতীয় সময়) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত তথা অন্তিম পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ট্রাম্প এবং কমলার মধ্যে কে জয়ী হবেন, তা ভোটারদের সরাসরি ভোটে নির্ধারিত হবে না। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে (ফেডারেল) নির্বাচনী লড়াইয়ের বদলে জয়ী-পরাজিত নির্ধারিত হবে এক একটি প্রদেশের নির্বাচনী লড়াইয়ের মাধ্যমে।
বুধবার ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশে ভোটগ্রহণ চলবে। তবে ভোট পরবর্তী সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসতে পারে ভোর সাড়ে ৩টে থেকেই। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হলেই শুরু হবে গণনা। রেজাল্ট জানতে দেরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২০ সালে ভোট গণনা শুরুর ৪ দিন পর রেজাল্ট বেরিয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প না কমলা হ্যারিস? আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে কে বসবেন, তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে সর্বত্র। আজ নিজেদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মত দেবে আমেরিকা। ভোটের ঠিক আগেই ভোটের ফল নিয়ে আন্দাজ পাওয়া গেল। না, কোনও সমীক্ষা নয়। ভোটের ফলের পূর্বাভাস দিল এক ছোট্ট জলহস্তী।তার নাম মু ডেং। থাইল্যান্ডের ভাইরাল হিপ্পো নামেই পরিচিত সে। লোকে বলে, তার পূর্বাভাস না কি সত্যি হয়। কমলা হ্যারিস না ডোনাল্ড ট্রাম্প, কার জিৎ হবে, এই নিয়ে ওই ছোট্ট জলহস্তীর সঙ্গে এক মজার খেলা খেললেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা। সেই মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। থাইল্যান্ডের একটি চিড়িয়াখানায় রাখা রয়েছে ওই জলহস্তী। জলহস্তীর ডেরায় দু'টি ফ্রুট কেক রাখা রয়েছে। একটি কেকে ট্রাম্পের নাম লেখা রয়েছে। আর একটি কেকে কমলার নাম লেখা রয়েছে। ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, ট্রাম্প লেখা কেকটি খেল ওই জলহস্তী। আর তার সঙ্গে থাকা একটি বড় জলহস্তী খেল কমলার নাম লেখা কেক। ভাইরাল জলহস্তী যেহেতু ট্রাম্প লেখা কেক খেল, ফলে পূর্বাভাস যে, ট্রাম্পই জিততে চলেছেন। তবে শেষমেশ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে কে বাজিমাৎ করেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ভোট শেষ হওয়ার পরও কিছু কারণে ফলাফল ঘোষণা বিলম্বিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যারিজোনার আইন অনুযায়ী ভোটাররা তাদের ব্যালট নির্বাচন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত জমা দিতে পারেন, ফলে শেষ মুহূর্তে জমা পড়া ব্যালটগুলো ভোট শেষ হওয়ার পর গণনা করা হয়।
প্রতিটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু ও শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্যে সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হবে। তবে নিউ হ্যাম্পশায়ার, টেনেসি এবং ওয়াশিংটনের মতো কয়েকটি রাজ্যে ভোটের সময় স্থানীয়ভাবে নির্ধারিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সময়ও আলাদা, যেখানে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়ে হাওয়াই এবং আলাস্কা পর্যন্ত ১২টা (জিএমটি ৫টা) পর্যন্ত ভোট চলবে।
শেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, যখন মার্কিন জনগণ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোট দিয়েছিল, তখনও ফলাফল ঘোষণা দেরি হয়েছিল। মূলত ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলিতে ঘনিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং করোনা পরিস্থিতি গণনা প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। তাছাড়া, অনেক রাজ্যে ডাকযোগে পাঠানো ভোটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গণনা সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর বেশ কিছু রাজ্য তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনে। গণনা দ্রুত করতে নতুন কিছু আইন কার্যকর হয়েছে, তবে এরপরও নির্বাচনী রাতে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইলন মাস্ক বলেন, "আমি এই নির্বাচনকে ভাগ্যের পথে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে দেখছি। আমি এই নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলাম কারণ আমরা যদি ট্রাম্পকে নির্বাচিত না করি তাহলে আমরা এদেশে গণতন্ত্র এবং দ্বিদলীয় ব্যবস্থা হারাবো। "
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটদাতারা দেশটির পরবর্তী নেতৃত্বের জন্য তাদের সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, যেখানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, হোয়াইট হাউসের চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ কার হাতে আসবে তা নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, ফলাফল বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা এখনও বিদ্যমান। ২০২০ সালের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা হতে চার দিন সময় লেগেছিল।
আমেরিকায় আজ স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, আজ বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু ভোটগ্রহণ। চলবে ৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।
আমেরিকার নির্বাচনে লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তফাৎ খুব বেশি নেই। তাই ভোটের ফল প্রকাশের আগে বলা যাচ্ছে না, আমেরিকার মসনদে কার বসার সম্ভাবনা বেশি।