হাসিনা সরকার বাংলাদেশ ছাড়তেই হিন্দুদের ওপর যথেচ্ছ অত্যাচার বাড়তে থাকে। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ভালো নেই বাংলাদেশের হিন্দুরা। বিশ্বজুড়ে যখন এই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠছে, তারই মধ্যে সরব প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কার্যত, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব যে জোরালো করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিন দীপাবলি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান ট্রাম্প। নিজের হাতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনও করেন। তবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারেরও নিন্দা করেন। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী তিনি। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে অনেকদিন আগেই ময়দানে নেমেছেন ট্রাম্প।
দীপাবলির শুভ দিনে বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান। ট্রাম্প বলেন, "হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে বর্বরোচিত হিংসা চালানো হচ্ছে, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নৈরাজ্যের মধ্যে রয়েছে।"
ট্রাম্প তাঁর বিবৃতিতে দাবি করেছেন, তাঁর শাসনকালে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হত না। তিনি বলেন, "আমার আমলে এসব সম্ভব হত না। কমলা ও জো (বাইডেন) সারা বিশ্ব ও আমেরিকার হিন্দুদের উপেক্ষা করেছেন।"
ট্রাম্প দাবি করেন, "ইজরায়েল থেকে ইউক্রেন আমাদের দক্ষিণ সীমান্ত পর্যন্ত, এই (বাইডেন-কমলা) প্রশাসনের একটি করুণ কাহিনী, তবে আমরা আমেরিকাকে আবার শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনব।"
হিন্দু আমেরিকানদের রক্ষা করা হবে
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তাঁর প্রশাসন কট্টরপন্থী বামপন্থীদের ধর্মবিরোধী এজেন্ডা থেকে হিন্দু আমেরিকানদের রক্ষা করবে। বলেন, "আমরা তোমাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব। প্রশাসনের অধীনে, আমরা ভারতের সঙ্গে মহান পার্টনারশিপ এবং ভালো বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করব।"
কমলা হ্যারিসের নীতির সমালোচনা!
বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নীতির সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁদের দ্বারা আরোপিত অতিরিক্ত নিয়ম এবং উচ্চ করের হার ছোট ব্যবসাগুলি মার খাবে।
শেষে ট্রাম্প সবাইকে শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে আলোর এই উত্সবটি মন্দের উপর বিজয়ের প্রতীক হয়ে উঠবে।