সাম্প্রতিক একটি নীতিগত নির্দেশে আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর সদস্যদের সরকারি স্মার্টফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) অ্যাপ্লিকেশন সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাইবার সুরক্ষার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে, যা হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
সোমবার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের একটি ইমেলের মাধ্যমে নির্দেশটি পৌঁছে দেওয়া হয়। হাউসের চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসারের অধীনস্থ সাইবার সিকিউরিটি অফিস জানায়, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলে ব্যক্তিগত ও সরকারি তথ্য ফাঁসের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। এই মেসেজিং অ্যাপটির মাধ্যমে হ্যাকিং বা ফিশিং আক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে বলে প্রশাসন আশঙ্কা করছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র মোবাইল ফোন নয়, বরং সমস্ত সরকারি কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ওয়েব ব্রাউজার থেকেও হোয়াটসঅ্যাপ অপসারণের নির্দেশ জারি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে যেন তারা দ্রুত এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সিগন্যাল, অ্যাপলের আইমেসেজ ও ফেসটাইম, মাইক্রোসফ্ট টিমস এবং উইকার-এর মতো নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সন্দেহজনক লিঙ্ক বা বার্তা থেকেও।
এই আদেশের পরপরই হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা মেটা (Meta) প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে এর নিন্দা করা হয়েছে। মেটার দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ একটি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড এবং সুরক্ষিত মেসেজিং পরিষেবা হিসেবে পরিচিত এবং তারা এই নিরাপত্তা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। তবে, মার্কিন প্রশাসন মনে করছে, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যদি কোনও হাই-প্রোফাইল সরকারি তথ্য হ্যাক হয়ে যায়, তাহলে তা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।