
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি আর শেষ হচ্ছে না। এই যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করে প্রায়ই বিতর্ক তৈরি করছেন তিনি। আর এ বার তিনি মে মাসের যুদ্ধে কতগুলি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছিল, সেই বিষয়টা নিয়েও নতুন দাবি করলেন।
কতগুলি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে?
আমেরিকার বিসনেস ফোরাম মিয়ামিতে দাঁড়িয়ে তিনি দাবি করেন, ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত অপারেশন সিঁদুর চলার সময় ৮টি বিমান ভেঙে পড়ে।
তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন আমরা তখন দু'জনের (ভারত ও পাকিস্তান) সঙ্গেই বাণিজ্য চুক্তি করার মধ্যে ছিলাম। তখন একটি খবরের কাগজের প্রথম পাতায় পড়ি... আমি শুনলাম তারা নাকি যুদ্ধে যাচ্ছে। ৭টি প্লেনকে গুলি করে নামানো হয়, ৮টি প্লেন খুব খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। মূলত ৮টা প্লেনকেই শট ডাউন করা হয়।'
আর ট্রাম্পের এই দাবির পর থেকেই আবার নতুন বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। সকলেই বোঝার চেষ্টা করছেন, কোন দেশের কতগুলি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে। যদিও এই বিষয়টা নিয়ে তেমন কোনও খোলসা করেননি ট্রাম্প।
বারবার এই নিয়ে চলছে দাবি
আসলে ট্রাম্পের এমন দাবি প্রথম নয়। তিনি সেই যুদ্ধের পর থেকেই এই দাবি করে আসছেন। প্রথমে তিনি দাবি করেছিলেন ৫টি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে। তবে এক মাসের মধ্যেই সেই বক্তব্য বদলে ফেলেন। তখন জানান, ৮টি বিমানকে ধ্বংস করা হয়েছে।
এই অক্টোবরেই তিনি টোকিয়োতে বলেন, 'যদি ভারত এবং পাকিস্তানের দিকে দেখেন, তাহলে দেখবেন ৭টি নতুন সুন্দর যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে।'
যদিও ভারত নিজেই স্বীকার করে যে কিছু ক্ষতি হয়েছে। যদিও কতটা ক্ষতি, সেটা জানান হয়নি। তবে এটা বলা হয় যে পাকিস্তানের ৮-১০ ফাইটার জেট তাঁরা শেষ করে দিয়েছে। এর মধ্যে আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ এবং চিনের তৈরি জেএফ-১৭ রয়েছে।
নিউক্লিয়ার যুদ্ধ থামিয়েছে
ট্রাম্পের মাথায় এখন শুধুই নোবেল শান্তি পুরস্কার। তাই তিনি সব যুদ্ধ থামানোর ক্রেডিটই নিতে চাইছেন। এমনকী ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্যও নিজের ঢাক বারবার পিটিয়ে চলেছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন যে, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ একে অপরের উপর হামলা চালালে পরিস্থিতি খারাপ দিকে যেতে পারত। তাই তিনি নাকি বাণিজ্যের টোপ দিয়ে পরমাণু যুদ্ধ থামিয়েছে।
যদিও ভারত প্রথম থেকেই ট্রাম্পের দাবি মানতে চায়নি। তারা জানিয়েছে, ভারত এবং পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে কথা বলেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। কারও কথায় নয়। আর এটা শুনেই চটেছেন ট্রাম্প। তারপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের বাড়িয়েছেন শুল্ক। এমনকী অন্যান্যভাবেও চাপ তৈরি করেছেন।