শর্ত মেনে গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইজরায়েল, দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। গাজায় বছরের পর বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতিকে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, "গাজা ইস্যুতে ইজরায়েলি আধিকারিকদের সঙ্গে আমার প্রতিনিধিদের দীর্ঘ এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলীতে ইজরায়েল সম্মত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমরা যুদ্ধ শেষ করার জন্য উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।"
হামাসকে সতর্কবার্তা
ট্রাম্প বলেন , কাতার এবং মিশর এই প্রস্তাব চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা শান্তি ফেরাতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। তিনি হামাসকে এই চুক্তি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, "আমি আশা করি হামাস মধ্যপ্রাচ্যের ভালোর জন্য এই চুক্তি মেনে নেবে। কারণ এতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। যদি হামাস এই প্রস্তাব গ্রহণ না করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।" ট্রাম্প আশা করে বলেন, আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আমেরিকা সফরের সময় ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে পৌঁছনো সম্ভব হবে।
হামাস বন্দিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত, কিন্তু অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার
এদিকে, হামাস ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা গাজার বাকি বন্দিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু স্পষ্টতই অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। একই সঙ্গে, ইজরায়েলের অবস্থান স্পষ্ট যে যুদ্ধবিরতির পথ কেবল হামাসের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমেই আসবে।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হয় ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে। যখন হামাসের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবাদীরা ইজরায়েল আক্রমণ করে। ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে বন্দি করে। ইজরায়েলিদের প্রত্যাঘাতে এখনও পর্যন্ত ৫৬,০০০ এরও বেশি প্যালেস্তাইনি নিহত হয়েছে, যার ফলে এই অঞ্চলে ভয়াবহ মানব সংকট তৈরি করেছে।
ট্রাম্প ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাও করেছিলেন
এর আগে, ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা বন্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। উভয় দেশই সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল।