হোয়াইট হাউসে পিকনিকের সময় 'ওয়ান বিগ বিউটিফুল' বিলে স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই সঙ্গে কর ছাড় এবং সরকারি ব্যয় হ্রাস সম্পর্কিত বিলটি আইনে পরিণত হল। ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতিতে এটিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিলটি একদিন আগে রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে ২১৮-২১৪ ভোটে পাস হয়। ট্রাম্প দাবি করেন, এই আইন আমেরিকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। করদাতাদের স্বস্তি দেবে।
২৪৯তম আমেরিকান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হোয়াইট হাউসের লনে আয়োজিত একটি পিকনিক হচ্চিল। আইন প্রণেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প বিলটিতে স্বাক্ষর করেন। ট্রাম্প তাঁর ভাষণে বলেন, 'এই বিলটি আমেরিকান পরিবার এবং ব্যবসার জন্য একটি নতুন সূচনা। আমরা কর কমাচ্ছি এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাচ্ছি, যাতে আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়।'
মানুষকে এত খুশি আগে কখনও দেখিনি: ট্রাম্প
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, 'আমি দেশের মানুষকে এত খুশি কখনও দেখিনি। কারণ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এখন নিরাপদ বোধ করছেন। এর মধ্যে রয়েছে সামরিক বাহিনী, সাধারণ নাগরিক এবং বিভিন্ন ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আছেন।'
ট্রাম্প হাউস স্পিকার মাইক জনসন এবং সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা জন থুনকে ধন্যবাদ জানান, যাদের নেতৃত্বে আমেরিকার উভয় কক্ষেই এই বিলটি পাস হয়েছে।
যদিও ট্রাম্পের দলের কিছু আইন প্রণেতা বিলটির ব্যয় এবং স্বাস্থ্যসেবার উপর এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ২২০ জন রিপাবলিকানের মধ্যে মাত্র দু'জন এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। যেখানে ২১২ জন ডেমোক্র্যাটই এর বিরোধিতা করেছিলেন।
'ওয়ান বিগ বিউটিফুল' আইন কী?
'ওয়ান বিগ বিউটিফুল' আইনে কর কাটা, সামরিক বাজেট, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি উৎপাদনের জন্য বর্ধিত ব্যয়, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচিতে কর কাটার মতো বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই আইনটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বৃহৎ পরিসরে নির্বাসনের জন্য ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গেও সম্পর্কিত। তবে, আইন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, এই পদক্ষেপগুলি মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দেবে। ছোট ব্যবসাকে উৎসাহিত করবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে। যদিও অন্যান্য বিরোধীরা বিশ্বাস করেন এই ব্যয় দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলিকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারণেই শিল্পপতি এলন মাস্ক সহ একটি বড় অংশ এই আইনের বিরুদ্ধে।