US white house bulldozer action: এবার হোয়াইট হাউসেও বুলডোজার! হঠাৎ ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত কেন?

নতুন বলরুমটি ৯০,০০০ বর্গফুট আয়তনের হবে। এবং এটি প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। বলরুম প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য ট্রাম্প মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের একটি অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলছেন।

হোয়াইট হাউসের যে অংশটি ট্রাম্প বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলছেন তা হল পূর্ব শাখা। পূর্ব শাখাটি অনেক ছোট এবং এতে ফার্স্ট লেডির অফিস এবং কর্মীরা থাকেন। ১৯০২ সালে নির্মিত, রাষ্ট্রপতি ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্ট ১৯৪২ সালে এটি সম্প্রসারণ করেন। একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার যুক্ত করেন।

ট্রাম্প ওয়াশিংটন পোস্টকে প্রকল্পটির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন। 'আপনি কি সেই শব্দ শুনতে পাচ্ছেন? ওহ, এটি আমার কানে সঙ্গীতের মতো। আমি সেই শব্দ পছন্দ করি। অন্যরা এটি পছন্দ করে না। আমি এটি পছন্দ করি... আমার মনে হয় যখন আমি এই শব্দ শুনি, তখন এটি আমাকে অর্থের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই ক্ষেত্রে, এটি আমাকে অর্থের অভাবের কথা মনে করিয়ে দেয়, কারণ আমি এর জন্য অর্থ প্রদান করছি।'

ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছেন এবং করদাতারা কোনও অবদান রাখছেন না। বলরুমটি তৈরিতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৫০ মিলিয়ন টাকা) খরচ হচ্ছে। ট্রাম্পের মতে, তিনি নিজেই সমস্ত খরচ বহন করছেন।

মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা তৃতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করার পর ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ। বিরোধী দল এবং গণমাধ্যমের কাছ থেকে তার এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন যে ট্রাম্প 'ব্যক্তিগত বিলাসিতা' অর্জনের জন্য ঐতিহাসিক হোয়াইট হাউসকে ধ্বংস করছেন, অন্যদিকে সমর্থকরা এটিকে 'জাতীয় গর্ব পুনরুদ্ধারের' পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করছেন।

ট্রাম্পের মতে, গত ১৫০ বছর ধরে আমেরিকান রাষ্ট্রপতিদের স্বপ্ন ছিল হোয়াইট হাউসে একটি বিশাল বলরুম থাকা যেখানে বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান এবং অন্যান্য সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হতে পারবেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে ঘোষণা করা হয়েছে যে 'নতুন, বৃহত্তর এবং আরও সুন্দর হোয়াইট হাউস বলরুমের' নির্মাণ শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প বলেছেন, '১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, প্রতিটি রাষ্ট্রপতির স্বপ্ন ছিল হোয়াইট হাউসে একটি বলরুম তৈরির। যেখানে লোকেরা জাঁকজমকপূর্ণ পার্টি, রাষ্ট্রীয় সফর এবং আরও অনেক কিছুর জন্য জড়ো হতে পারে।' তিনি আরও বলেন, 'আমেরিকান করদাতাদের কাছ থেকে কোনও খরচ ছাড়াই এই বহু প্রত্যাশিত প্রকল্পটি চালু করার জন্য আমি প্রথম রাষ্ট্রপতি হতে পেরে গর্বিত!'

ট্রাম্পের স্বপ্নের প্রকল্পের সমালোচনা করেছেন বেশ কয়েকজন সিনেটর। সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন এক্স-এ লিখেছেন, 'ব্যয় বাড়ছে? ট্রাম্প বুলডোজারের শব্দ করতে ব্যস্ত!'