Advertisement

USA on Bangladesh Violence : 'ধর্মীয় বিশ্বাস মানবাধিকার,' বাংলাদেশ হিংসায় এবার মুখ খুলল আমেরিকা

USA Condemns Bangladesh Violence: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা করেছে আমেরিকা। সে দেশের বিদেশ বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, ধার্মিক স্বাতন্ত্র্য আর বিশ্বাস মানব অধিকার।

বাংলাদেশের ঘটনার নিন্দা আমেরিকার (প্রতীকী ছবি)
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 19 Oct 2021,
  • अपडेटेड 11:45 AM IST
  • বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা থামার কোনও নামগন্ধ নেই যেন
  • নেহাতই একটা গুজব
  • আর তার জেরে শুরু হয়েছে গোলমাল-হিংসা

USA Condemns Bangladesh Violence: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা থামার কোনও নামগন্ধ নেই যেন। নেহাতই একটা গুজব। আর তার জেরে শুরু হয়েছে গোলমাল-হিংসা। এই ঘটনার কারণে বেশ কয়েকজনের প্রাণ গিয়েছে। 

দুষ্কৃতীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। দোষীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। যেখানে গোলমাল হয়েযে, সে সব জায়গার কয়েকজন পুলিশকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আমেরিকার নিন্দা
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা করেছে আমেরিকা। সে দেশের বিদেশ বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, ধার্মিক স্বাতন্ত্র্য আর বিশ্বাস মানব অধিকার। দুনিয়ার যে কোনও মানুষের নিজের ধার্মিক পরিচয় এবং বিশ্বাসের কথা না ভেবে সুযোগ সুরক্ষিত থাকা উচিত। এবং নিজের উৎসব পালন করা করে করতে হবে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নিন্দা করা হচ্ছে।

হিন্দুদের দাবি
এর মাঝে বাংলাদেশের হিন্দুদর তরফে প্রাণেশ হালদার দাবি করেছেন, সে দেশে যাতে হিন্দুদের আর কোনও সমস্য়ায় না পড়তে হয়, তা যেন নিশ্চিত করে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক।

এদিকে, বাংলাদেশে দুর্গাপুজো মণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। সেখানে চক্রান্ত করা হয়েছে। সোমবার এই দাবি করেছেন সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামা খান। কুমিল্লার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কড়া বার্তা দিয়েছিলেন।

খালি কুমিল্লায় নয়
এ ব্য়াপারে তিনি বলেছেন, আমরা যদি এই ঘটনার গভীর ভাবে দেখি, তা হলে দেখা যাবে, এটা কেবল কুমিল্লায় হয়নি। এমন ঘটনা রামু, নাসিরনগরেও হয়েছে। এই ঘটনা ঘটানোর কারণ হল উত্তেজনা তৈরি করা এবং অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা। 

একসঙ্গে আতঙ্কের মোকাবিলা
তিনি বলেছেন, আমাদের দেশের মানুষ ধর্মান্ত নন। আমরা কখনই এখানে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হতে দিই না। এখানে হিন্দু-মুসলিম-শিখ সবাই একসঙ্গে মিলে আতঙ্কের ঘটনা আর তার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের মোকাবিলা করেছে। কুমিল্লার পরও বিভিন্ন জায়গায় ঘটনা ঘটেছে। যেমন নোয়াখালিতে হয়েছে, চাঁদপুরে ৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি ফেনিতেও হয়েছে। আবার কক্সবাজারেও হয়েছে। এগুলো ছোটো ঘটনা। তবে চাঁদপুর এবং নোয়াখালিতে মানুষ মারা গিয়েছেন।

Advertisement

বাংলাদেশে বেশ বড়সড় অভিযোগ উঠেছে। সেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়। এবারও হয়েছিল কিন্তু অভিযোগ, কয়েকটি জায়গায় ভাঙচুর করা হয়েছে।

কড়া বার্তা হাসিনার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যারাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, কাউকে ছাড়া হবে না। শেখ হাসিনার বার্তা যে ধর্মের মানুষই এই কাজ করে থাকুক না কেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

শেখ হাসিনা ঢাকা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। বলেছেন কুমিল্লা জেলায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। যারাই হিন্দু মন্দিরে আর দুর্গাপুজা মণ্ডপে হামলা করে থাকুক না কেন, তাদের মধ্যে কাউকেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। 

এর পাশাপাশি তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গোলমাল যারা পাকিয়েছেন, তাদের ধর্ম যাই হোক না কেন, তাদের দেখা হবে না। তিনি বলেছেন, এই হামলার পিছনে তারাই রয়েছে, যাদের সঙ্গে মানুষের কোনও যোগাযোগ নেই। 

সোশাল মিডিয়া পোস্ট
এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, কোরানকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তারপর গোলমাল শুরু হয়ে যায়। এর পর বেশ কিছু দুর্গাপুজো মণ্ডপে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে সেখানে পুলিশকর্মী নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হয়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement