এমনিতে ভাঁড়ে মা ভবানী দশা দুই দেশের। তার উপর আবার বাড়ছে প্রতিরক্ষা খরচ। শক্তিশালী জেট এবং মিসাইল কেনায় উদ্যত হয়েছে ভারতের দুটি প্রতিবেশী দেশ।
হ্যাঁ ঠিকই ভাবছেন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কথাই বলছি। এর মধ্যে পাকিস্তান তার ত্রাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করছে। তাতে খুব তাড়াতাড়ি আমেরিকার থেকে অধুনিক মাঝারি পাল্লার এয়ার টু এয়ার মিসাইল (AMRAAM) কিনতে চলেছে পাকিস্তান।
কী হচ্ছে চুক্তি?
আমেরিকার সংস্থা রেথিয়নের সঙ্গে হয়েছে চুক্তি। এই সংস্থা AIM-120C8 এবং D3 সংস্করণের মিসাইল তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে। ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে। তবে শুধু পাকিস্তান নয়, এই চুক্তির মাধ্যেমে তুরস্ক, পাকিস্তান সহ একাধিক দেশ পাবে মিসাইল।
শুধু তাই নয়, পাকিস্তান F16 যুদ্ধবিমানও আপডেট করতে চলেছে বলে খবর। এই বিমান থেকেই ছোড়া হবে AMRAAM মিসাইল। তাতেই নাকি ভারত কেঁপে উঠবে বলে মনে করছেন সে দেশের সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
ও দিকে বাংলাদেশও চিনের শরণাপন্ন
ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ নিয়েও মাথা ব্যথা বাড়ছে। যতদূর খবর, চিনের J-10CE কিনতে চলেছে বাংলাদেশ। তাদের পক্ষ থেকে ২.২ বিলিয়ন আমেরিকান ডলারে চুক্তি হয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে শুধু বিমানের পাশাপাশি ট্রেনিং, প্লেন মেন্টেনেন্স এবং আরও কিছু কিছু সুযোগসুবিধাও পাওয়া যাবে বলে খবর। যার ফলে বাড়বে তাদের সামরিক শক্তি। তারা আরও গলা উঁচু করে কথা বলতে পারবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
চাপে পড়বে ভারত?
ভারতের পাশের দুই দেশ নিজের সামরিক শক্তি বাড়ালে যে আদতে একটু সমস্যা হবে, সেটা তো বলাই বাহুল্য।
তবে এমন পরিস্থিতিতে চুপ করে বসে নেই নয়াদিল্লি। তারাও নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়ানোর কাজে লেগে পড়েছে। সেক্ষেত্রে নয়াদিল্লির বায়ুসেনাকে শক্তিশালী করতে ‘এসইউ-৫৭ই’ নামের একদম আধুনিক ‘স্টেল্থ’ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করার ব্যাপারে আগ্রহী রাশিয়া। আর এই চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা চলছে। এক্ষেত্রে রাশিয়া যুদ্ধবিমানের ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি ভারতকে দিতে পারে বলে খবর। তার ফলে ভারত নিজের মতো করে সেই বিমানে বদল আনতে হবে। সেটা ব্যবহারে হবে সুবিধা।
এখানেই শেষ নয়, ভারত নিজেদের আকাশপথকে সুরক্ষিত রাখতে আরও ৫টি S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার কথা চলছে। যার ফলে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের যতই বাড়াবাড়ি করুক না কেন, খুব একটা কায়দা করতে পারবে না বলেই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।