ইজরায়েলি রকেট হানায় ফের চূর্ণ বিচূর্ণ হল গাজা স্ট্রিপ। যদিও ইজরায়েলের দাবি আগে লেবাননের তরফে রকেট হানা হয়েছে। এরপরই পাল্টা রকেট হানা চালায় ইজরায়েল। ইসলামিস্ট বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন হামাসকেই দায়ী করেছে ইজরায়েল। ঘটনার শুরু বুধবার, 5 এপ্রিল। জেরুজালেমের Al-Aqsa মসজিদে সংঘর্ষের পরই ইজরায়েল ও লেবাননের রকেট হানা শুরু হয়। ইজরায়েলের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা স্ট্রিপে প্রথম রকেট হানা চালায় লেবানন। এরপরই পাল্টা জবাব দেয় ইজরায়েলও। পবিত্র রামদান চলাকালীন Al-Aqsa মসজিদে প্রার্থনা চলাকালীন ইজরায়েলি পুলিশ ঢুকে বহু প্যালেস্টিনিয়ানকে সরিয়ে দেয়। সম্ভাব্য সংঘর্ষের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ বলে জানান ইজরায়েল। বাধা দিয়ে মসজিদে প্রার্থনায় রত বহু মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষও বাধে পুলিশের। উত্তর ইজরায়েলের সীমান্ত শহর Shlomi তে বৃহস্পতিবার, 6 এপ্রিল রকেট হানার পর ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায় বলে দাবি করেছেন ইজরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। ঘটনার জেরে ইজরায়েলের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ Haifa এবং Rosh Pinaতে বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেয়। যদিও গাজা স্ট্রিপে রকেট হানার আগে বিবৃতি দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু। তিনি জানিয়েছিলেন ইজরায়েলের শত্রুদের কোনও মতেই ছাড়া হবে না। যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। এর এক ঘণ্টার মধ্যেই গাজার একাধিক এলাকায় রকেয় হানা শুরু হয়ে যায়। দক্ষিণ লেবাননের হামাস ও Rashidiyeh refugee camp-এ আঘাত হানার ঘটনা স্বীকার করেছে ইজরায়েল। এই রিফিউজি ক্যাম্পে তিনটি বড় বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 2006 সালের পর এটাই সবথেকে বড় লেবাননের রকেট হানা বলে দাবি করা হচ্ছে। ইজরায়েল দাবি করেছে, মোট 34টি রকেট ছুড়েছিল লেবানন। এরমধ্যে 25টিকে আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়। যদিও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী Najib Mikati রকেট হানার নিন্দা করে বিবৃতি জারি করেছে। তাঁর দেশ থেকে এই ধরনের কোনও রকেট ছোড়া হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। যদিও লেবাননের এই দাবি নস্যাৎ করে ইজরায়েল দাবি করেছে লেবানন সেনাই এই রকেট ছুড়েছে। নিজের কৃতকর্ম থেকে নজর ঘোরাতেই কি পদক্ষেপ করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেজ্ঞামিন নেতানইয়াহু? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ বিচার ব্যবস্থার সংস্কার ইস্যুতে নেতানইয়াহুর বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে নিজের দেশেই। সমালোচনা শুরু হয়েছে বিদেশেও। তাই ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়েই এই পদক্ষেপ করেছেন নেতানইয়াহু। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।