স্ত্রী এর সংখ্যা 12 , সন্তানদের সংখ্যা 102, আর নাতি-নাতনির সংখ্যা বেশি নয়, 578। এই হল উগান্ডার বুগুসার বাসিন্দা মুসা হাসাইয়ার পরিবার। যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবার হিসাবেও পরিচিত। আর 68 বছর বয়সে এসে হুঁশ ফিরেছে উগান্ডার বুগুসার বাসিন্দা মুসার। তিনি স্ত্রীদের বলেছেন, আর না, এবার গর্ভনিরোধক ওষুধ খাবে সকলে। মুসার স্ত্রী 12 জন, সন্তানদের সংখ্যা 102, নাতি-নাতনির সংখ্যা বেশি না, 578। তাঁর পরিবার কার্যত ছোটখাটো গ্রামের সমান। শুরুতে অবশ্য পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়ুক, এমনটাই চেয়েছিলেন মুসা। যেহেতু প্রয়োজনের চেয়ে অনেকটা বেশি আয় করতেন মুসা। কিন্তু বিষয়টা লাগাম ছাড়া হওয়াতেই ঝামেলা শুরু হয়। কিন্তু কে এই মুসা? মুসা হাসাইয়া উগান্ডার বুগুসার বাসিন্দা। যিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। প্রচুর পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। ফলে আয়-ব্যয় নিয়ে খুব একটা বেশি ভাবতেন না তিনি। স্কুলছুট হওয়ার পর 16 বছর বয়সে প্রথমবার বিয়ে করেন মুসা। প্রথম স্ত্রী হানিফার গর্ভে দুবছর পর প্রথম সন্তান আসে। প্রথমবার বাবা হওয়ার স্বাদ পান তিনি। বাবা হওয়ার পর্ব চলতেই থাকে। এরপর একে একে বিয়ে করতে করতে সংখ্যাটা গিয়ে পৌঁছয় 12 তে। এভাবেই সন্তান সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় 102। ছেলে ও মেয়েরা অনেকেই বড় হয়েছে। ফলে মুসার নাতিনাতনির সংখ্যা 578। তাদের সবার নামও মনে নেই বৃদ্ধ মুসার! প্রচুর সম্পত্তির মালিক, এলেমদার মুসা গ্রামের মোড়লও বটে। তাঁর বিরাট বাড়ি। সেখানে একডজন স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য রয়েছে আলাদা ঘর। কিন্তু কোনওকিছুর বাড়াবাড়ি ভাল না। ক্ষমতাবান মুসা এখন সন্তান ও নাতিপুতিদের নিয়ে চিন্তিত। কেন জানেন? কারণ শত সন্তানের জন্ম দেওয়া মুসা বিরাট এই সংসার সামলাতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এর জন্য অবশ্য নিজেকেই দায়ী করেছেন মুসা। আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। তাঁর পরিবারের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সদস্য সকলে যাতে পড়াশোনার সুযোগ পায়, তার জন্য সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছেন মুসা। তাঁর কথায়, আমি আর সন্তান প্রতিপালন করতে পারব না। সীমিত আয়ে সংসার চালাতে পারছি না। যদিও আমার বারো জন স্ত্রী এখনও সন্তানধারণ করতে পারেন। সেই জন্য তাঁদের পরামর্শ দিয়েছি, এ বার থেকে সবাই গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার করো।