Advertisement

Sheikh Hasina: 'আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিইনি,' বছর ঘুরতেই বড় বার্তা হাসিনার, কেন ইঙ্গিতপূর্ণও?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বীরের রক্তই তাঁর শরীরে বইছে, তার প্রমাণও দিলেন। বলে দিলেন, 'আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিইনি।' আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের ন্যায়বিচার, শান্তি ও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও বার্তা দিলেন।

শেখ হাসিনাশেখ হাসিনা
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 05 Aug 2025,
  • अपडेटेड 10:30 AM IST
  • বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন হাসিনা
  • প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিইনি: হাসিনা
  • বিশৃঙ্খলার প্রভাব থেকে খুব কম মানুষই রেহাই পেয়েছেন

ঠিক একবছর আগে আজকের দিনেই বাংলাদেশের তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তারপর ভারতে আশ্রয় নেন। বিপ্লবের নাম দিয়ে এক চূড়ান্ত রক্তাক্ত, খুনোখুনি, আগুন ধরিয়ে দেওয়া সহ যাবতীয় অরাজকতার যে শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, ৫ অগাস্ট হাসিনা বিদায়ের পরেও তা চলেছে। এমনকী এখনও অরাজকতার আরেক নাম বাংলাদেশ। এহেন শেখ হাসিনা এবার বড় বার্তা দিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বীরের রক্তই তাঁর শরীরে বইছে, তার প্রমাণও দিলেন। বলে দিলেন, 'আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিইনি।' আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের ন্যায়বিচার, শান্তি ও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও বার্তা দিলেন।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন হাসিনা

লন্ডন থেকে শেখ হাসিনার পক্ষে প্রকাশিত বিবৃতিটি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT) তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু করেছে। অভিযোগ, ছাত্রদের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলন দমন করতে গিয়ে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। ওই আন্দোলনের জেরেই তাঁর সরকার পতনের ঘটনা ঘটে। গত বছরের ৫ অগাস্ট ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতেই আত্মনির্বাসনে রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিইনি: হাসিনা

হাসিনা বিবৃতিতে বলেছেন, 'আমাকে নিয়ে যাবতীয় দাবির মধ্যেও আপনাদের বলছি, আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের প্রতি কর্তব্য থেকে ইস্তফা দিইনি। আপনাদের উপর আমার অগাধ বিশ্বাস। বাংলাদেশের প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সবচেয়ে সুদিন শীঘ্রই ফিরছে।' হাসিনার বক্তব্য, গণতন্ত্রের পতনের পর একবছর কেটে যাওয়ার এই বিবৃতি বাংলাদেশের সত্‍, পরিশ্রমী ও দেশপ্রেমী জনতার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি।

গত বছরের ৫ অগাস্ট ঢাকায় ছাত্রদের নেতৃত্বে ব্যাপক আন্দোলনের জেরে সরকারি বাসভবন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কিনা, তা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা চলছিল। সরকার এবং সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, তিনি পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তাঁর কোনও লিখিত পদত্যাগপত্র কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। এদিকে, নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে মে মাসে আওয়ামী লিগের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হলেও, দলটি আবারও বাংলাদেশে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হাসিনা।

Advertisement

বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'এই বার্ষিকী যেন শুধুই ফিরে দেখার দিন না হয়, বরং আগামী দিনের জন্য নতুন লড়াই শুরুর ডাক হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ অতীতেও অনেক প্রতিকূলতা জয় করেছে। আমরা আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়াব, আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আরও শক্তভাবে। আমরা এমন এক গণতন্ত্র গড়ে তুলব, যা সত্যিকার অর্থে জনগণের সেবা করবে।'

বিশৃঙ্খলার প্রভাব থেকে খুব কম মানুষই রেহাই পেয়েছেন

তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর যেসব বিবৃতি এসেছে, তার তুলনায় এবার তিনি সরাসরি ইউনূস বা অন্তর্বর্তী সরকারের নাম উল্লেখ করেননি। তবে বলেছেন, 'গত এক বছরে বাংলাদেশে প্রতিদিনই হিংসা, সমাজের সবচেয়ে দুর্বল মানুষের উপর আক্রমণ এবং দেশের প্রধান প্রধান পরিকাঠামোর অকারণ ধ্বংস দেখা গেছে। গত বছরের আন্দোলনের পর থেকে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলার প্রভাব থেকে খুব কম মানুষই রেহাই পেয়েছেন। বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ স্তর থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষক ও সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্য পর্যন্ত, অনেকেই যথেচ্ছ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, বিচার পাওয়ার কোনও সুযোগ ছাড়াই।'

এই বিবৃতি প্রকাশের দিনই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাসিনার বিরুদ্ধে অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নিযুক্ত প্রধান সরকারি আইনজীবী তাজুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে হাসিনাকে 'সব অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু' বলে আখ্যা দেন এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তোলেন। হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হল গত বছরের আন্দোলনে জড়িত মানুষদের হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ।

Read more!
Advertisement
Advertisement