Advertisement

Sheikh Hasina: হাসিনাকে 'খুন' করতে মরিয়া ইউনূস, দেশে ফেরাতে এবার কী পদক্ষেপ?

ভারত–বাংলাদেশের ২০১৩ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, এক দেশ অপর দেশের দণ্ডিত পলাতককে প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য। তবে চুক্তিতে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম রয়েছে, যদি কোনও মামলা রাজনৈতিক চরিত্রের বলে মনে হয়, তা হলে প্রত্যর্পণ না-ও করা যেতে পারে।

হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশহাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 19 Nov 2025,
  • अपडेटेड 3:55 PM IST
  • ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ
  • ইউনুস সরকারের ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ
  • হাসিনার প্রত্যর্পণ কি আইনি ধোঁয়াশায়?

বিচারের নামে প্রহসনে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। তারপর থেকেই তর সইছে না মহম্মদ ইউনূসের। হাসিনাকে একেবারে হত্যা করে প্রতিশোধের আগুন নেভাতে মরিয়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ভারত থেকে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে এবার একেবারে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হল ইউনূস সরকার। হাসিনা সরকারের আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ট্রাইবুনালে যে ভাবে বিচারের নাটক করে দুজনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসঙ্ঘে সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও মুখ পোড়ানোর আরও বন্দোবস্ত করছে বাংলাদেশ।

ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ

ইউনূসরা হাসিনাকে ফেরাতে যে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে, সেই বিষয়টি জানিয়ে নয়াদিল্লিতে চিঠিও দিচ্ছে। ২০২৪ সালের জুলাই বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশে মানবতা বিরোধী অপরাধে আসাদুজ্জামান ও হাসিনা, দুজনকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইউনূস সরকার। সোমবার এই রায়দানের পরে প্রসিকিউটার গাজি মহম্মদ তামিমের দাবি, হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ জারি করার প্রস্তুতি চলছে। তাঁর কথায়, 'দু'জনই পলাতক। ট্রাইবুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ ইন্টারপোলে আবেদন পাঠানো হয়েছিল। এবার গ্রেফতারি পরোয়ানার বদলে দণ্ডিত হওয়ার ভিত্তিতে নতুন রেড নোটিস ইস্যুর অনুরোধ জানানো হবে।'

ইউনুস সরকারের ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ

ইউনূস প্রশাসনের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, শেখ হাসিনা ও কামালের প্রত্যর্পণের জন্য ঢাকা শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিকে চিঠি পাঠাবে। ভারত সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও, রায় ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থেই ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকবে। গতবছর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা সহ ১২ জন ‘পলাতক’ আসামির বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিসের অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। ঢাকার বিদেশ  জানায়, ভারতকে পাঠানোর জন্য একটি নোট চূড়ান্ত করা হচ্ছে, যা কয়েক দিনের মধ্যেই পাঠানো হতে পারে। দ্য ডেইলি স্টার–এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ভারতকে হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তবে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

হাসিনার প্রত্যর্পণ কি আইনি ধোঁয়াশায়?

ভারত–বাংলাদেশের ২০১৩ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, এক দেশ অপর দেশের দণ্ডিত পলাতককে প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য। তবে চুক্তিতে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম রয়েছে, যদি কোনও মামলা রাজনৈতিক চরিত্রের বলে মনে হয়, তা হলে প্রত্যর্পণ না-ও করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শেখ হাসিনার মামলা এই ধোঁয়াশাপূর্ণ ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলে পড়ে যেতে পারে। এদিকে ICT প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, বিশেষ ট্রাইবুনাল আইনের অধীনে শেখ হাসিনা ও কামালকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করে আপিল করতে হবে।

ঢাকা যখন প্রত্যর্পণ ইস্যুতে চাপ বাড়াচ্ছে, তখন ভারতের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ও প্রতিক্রিয়া দুই দেশের কূটনৈতিক সমীকরণ এবং বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ, দুটির ওপরই বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement