Chinmoy Krishna Das: 'আল্লাহ হু আকবর' চিত্‍কার আইনজীবীদের, চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন না-মঞ্জুর হতেই উল্লাস

গত ২৫ অক্টোবর চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের সমাবেশ হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৩১ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের আদালতে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন আবারও খারিজ করা হয়েছে। শুনানিতে চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর একটি দল। জামিনের আবেদন খারিজ হওয়াতে ফলে জেলেই থাকতে হবে চিন্ময়কৃষ্ণকে। চিন্ময়ের আগের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ বর্তমানে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়ের মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে যায়। বর্তমানে চট্টগ্রামের জেলে বন্দি রয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ।

গত শুনানির দিন চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে আদালতে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু সন্ন্যাসীকে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন না জানানোয় সন্ন্যাসীকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব সে দেশের হিন্দুদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, 'বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, যাতে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হয়।' হিন্দুদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথাও উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি।

চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারের ঘটনার পর থেকেই উত্তাল ওপার বাংলা। হিন্দুদের উপর অত্যাচারের একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। মন্দিরে ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারের প্রতিবাদের আঁচ এসে পড়েছে কলকাতাতেও। চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তির দাবিতে কলকাতায় মিছিল করেছে বঙ্গ বিজেপি। বাংলাদেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।