Advertisement

ভারতের পথেই বাংলাদেশ, Covishield পেতে সিরামকে অগ্রিম ৬০০ কোটি টাকা ঢাকার

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, সিরাম ইন্সটিটিউট টিকা দিতে আগাম হিসেবে এ অর্থ নিচ্ছে। বাকি টাকা টিকা সরবরাহ শুরু করার পর দেওয়া হবে। চুক্তির অনুযায়ী, সেরামকে আগামী জুনের মধ্যে টিকা দিতে হবে, না হলে বাংলাদেশ সরকার অগ্রিম টাকা ফেরত নেবে। সব কিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে বলে আশা করছে সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। গত শনিবারই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। সুতরাং ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাকসিনর আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

CovishieldCovishield
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 03 Jan 2021,
  • अपडेटेड 6:50 PM IST
  • কোভিশিল্ডের ওপর ভরসা রাখছে বাংলাদেশও
  • ভ্যাকিসন পেতে সিরামকে ৬০০ কোটি টাকা অগ্রিম
  • ভ্যাকিসন পেতে সিরামকে ৬০০ কোটি টাকা অগ্রিম

২০২১ সালের প্রথম দিনেই স্বস্তির খবর মিলেছে  ভারতে। অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞ কমিটি।  ভারতের পুণেতে অবস্থিতি সিরাম ইনস্টিটিউট এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে দেশে। সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি রয়েছে। এই আবহেই সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার ভ্যাকসিন কিনতে অগ্রিম টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ৬০০ কোটি টাকার বেশি রবিবরা সিরামের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়। এর পরিবর্তে সিরাম ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ সরকারকে একটি ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিপত্র দিচ্ছে। 

বছরের প্রথম দিনেই ধরা দিলেন তিনি, জালে উঠল ২০ কেজির বিশাল কাতলা

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, সিরাম ইন্সটিটিউট টিকা দিতে আগাম হিসেবে এ অর্থ নিচ্ছে। বাকি টাকা টিকা সরবরাহ শুরু করার পর দেওয়া হবে। চুক্তির অনুযায়ী, সেরামকে আগামী জুনের মধ্যে টিকা দিতে হবে, না হলে বাংলাদেশ সরকার অগ্রিম টাকা ফেরত নেবে। সব কিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে বলে আশা করছে  সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। গত শনিবারই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। সুতরাং ভারতের  টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাকসিনর আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

রাষ্ট্রসংঘের চাপের পাল্টা জবাব ঢাকার, ভাসানচরে গেল রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় দল

এর আগে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রক ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইন্সটিটিউট ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় এ কাজ হচ্ছে। টিকা যাতে সরাসরি কেনা যায়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রককে অনুমোদন দিয়েছেন। টিকা আনার পর সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেইন মেইনটেন করতে হবে। সে জন্য বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। টিকা দেয়ার জন্য বাংলাদেশে ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী এবং সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক কাজ করবেন। খুব শীঘ্রই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, প্রতি ডোজ টিকার ক্রয়মূল্য ৪ ডলার। সব খরচ মিলিয়ে দাম পড়বে ৫ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে ৪২৫ টাকার মত। করোনাভাইরাসের এই টিকা সরকার কিনে তা বিনামূল্যে বিতরণ করবে বলে আগেই জানানো হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

প্রায় ৬ কোটি মানুষের জন্য ভ্যাকসিনের অর্ডার নিশ্চিত করছে বাংলাদেশ সরকার। যার প্রথম চালানে আসবে ৫০ লাখ ডোজ, জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এদিকে বাংলাদেশে  দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের হিসাবে আট মাসে সর্বনিম্ন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৬৪ জন। গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৯৯। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের  হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে দেশে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬২০ জন হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৬৮৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ১৮৪। উরোপ-আমেরিকায় শীতে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলেও বাংলাদেশে দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমতে দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার হাজারের নিচে রোগী শনাক্তের কথা জানানোর একদিন পর সেই সংখ্যা ছয়শ’র ঘরে নেমে এল। বাংলাদেশে  ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement